মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

টুকরো কবিতা

আমার ঘরের পানে আকাশ তাকায়,
ঐ যে ধবল মেঘ, সে আমায় ছুঁতে চায়
প্রতিবেশি রদ্দুর জানে, থাকি আমি দূর বহুদূর
নাগরিক উপহাস গুনে, অশ্রান্ত নিরুপায় অচিন্তপুর..

বোবা সময়

বোবা সময়ের ভাঁজ ভেঙ্গে খুলে দেখি,
বেশামাল গতি তার
নেই কেউ হাত দিয়ে ছুঁয়ে বলে,
নেবো আমি সব ভার.
অজানার জানালায় উঁকি দিলে তখুনি,
আবছা আলোরা দেয় ধুমধাম বকুনি।
তবু এই বোবা কালা সময়ের নদী ঢেউ
পাল তুলে হাল ধরে, নেই সাহসী নাবিক কেউ!
শহরে শহরে উঁচু দালানের আড়ালে
কালো ছায়া দমকায় খানিকটা দাঁড়ালে!
বলো-
অবেলায় অবিরাম বাতিঘর কোথা পাই
তাই বোবা সময়ের কাঁধে সব বোঝা চেপে যাই...

শিরোনামহীণ

যুদ্ধহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে দেখে ক্লান্ত খুব
মৃত্যুর মিছিলে বিলীন মানবতা !
অতঃপর, প্রিয়জন হারিয়েছে যে
তার হাতে তুলে দেই আরেকটি যুদ্ধের উন্মাদনা ।
যুদ্ধহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি তবু
মৃত্যুর সংজ্ঞা ভুলে নত হই, সাজাই বিমূর্ত প্রার্থনা...

নিয়তি

সেই শববাহী মিছিলে তুমিও যাবে
হয় মৃত্যুরূপ শ্বেতকায় আচ্ছাদনে, নয়তো বিদায়ের নীলে,
সেই শববাহী মিছিলে সবাইকে পাবে
যেমন করে একে একে জমা হয় মেঘ, টুপটাপ খালে বিলে।
তুমিও অন্ধকার শুষে শুষে লীন
রহস্য চাক চাক, তোমার সে পরাস্ত দাম্ভিক দিন!
তোমারও অট্যহাসির রেখা গড়াবে, রাত্তিরের নেভানো চিরাগে
ভুলোনা এ চিরকাল নয়, যেতে হবে নিষ্ঠুর নিমন্ত্রনে, তুমুল বিরাগে ...