রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

এবং তুমি

আমার সাথে ছায়া হাঁটে
এবং তুমি মিলাও পায়ে পা
কে বলেছে আমার আকাশ নিকষ কালো মেঘেতে ঢাকা ?
বৃষ্টি যখন উথাল পাথাল
ভিজিয়ে দিয়ে আমার উঠোন, ছন্দে দোলায় পাহাড় সমুদ্দুর
এক চিলতে রোদের মত হঠাৎ দেখি তুমি যেন বিভায় রাঙ্গা নুর...
আমার যত যন্ত্রণাতে তোমাকে পাই অনেক কাছে
বন্ধু এমন অমন প্রিয় কে আর আছে ?

১৯।০২।২০১২

বৃত্ত বন্দি

আমরা এখন খুব আধুনিক,
চোখে রঙ্গিন চশমা এটে আমরা এখন পাগল প্রেমিক।
আমরা এখন ভালবাসি কৃত্রিমতার মুখোশগুলো, কিংবা যত মিথ্যা আছে নিজের ভেতর লুকিয়ে ফেলি ...
আমরা এখন খুব আধুনিক
রক্ত কিংবা মিছিল দেখে আমরা কেবল পেছন ফিরি
অথবা নিজ বৃত্ত দিয়ে নিজের ভেতর বন্দী থাকি ।
আমরা এখন খুব আধুনিক,
চোখে রঙ্গিন চশমা এটে, আমরা এখন পাগল প্রেমিক...
আমরা এখন খুব আধুনিক ১৩।০২।২০১২

অথচ আমি আনকোরা !!

দুচোখে দুটো অপার সমুদ্র নিয়ে চেয়ে আছো
অথচ আমি সাঁতার ভুলতে বসেছি সেই কবে !
ছেড়া পথগুলো সুতোয় গাঁথতে বলে তুমি যেন কোথায় গেলে সন্ধ্যা ওবদি  
অথচ আমার দুচোকে এখন গভীর অন্ধকার ।
সাদা কাগজ হাতে তুলে দিয়ে বললে, লিখে যাও তবু
অথচ , কলমের কালি ফুরিয়েছে সেই কবে !
আমি গাইতে পারিনা বলেই কি বলেছিলে,
একটা গান শোনাবে কবি  ?
০৯।০২।২০১২

মানুষ নই, কিংবা নির্বোধ !!

সমস্ত  উপমাকে অসহায় করে দিয়ে, মানুষ সত্যি এখন আর মানুষ থাকলোনা ...
তাইতো , এমন এক বারুদ গন্ধ সময়ের বুক ছিরে তাকিয়েই, চমকে উঠি!!
রাজপথে মানবিক মৃত্যু দেখে দেখে
মায়ের চোখের অশ্রু শুখিয়ে যেতে বসেছে তবু –
তুফানের চিহ্ন চিনতে শিখেনা কেউ,
তবু নিমগ্ন আলো আধারির খেলায় বিলাসী মন মাতে সুখের গুঞ্জরনে  ...
রাজপথে  নিথর পরে আছে সদ্য বিদায়ি যুবা
পৃথিবীর কাছে তার প্রাণ এত তুচ্ছ কেন বলতে পারো কেউ ?
অথচ এখনো তো মায়ের মমতা বেঁচে আছে বিশ্বাস হয় ...
হায় !  আজ শুধু মনে হয় ,গার নিঃশ্বাসে মরিচা পরেছে যেন
আমাদের চোখে এঁটে যাওয়া পর্দা-
কি এক অদৃশ্য সেকলে বাঁধা মনগুলো বোধহীন –
ভোগের কাছে নত শরীরে মেদ জমে জমে রাত ঘুমে স্বপ্নের লোভ –
আমরাতো সমস্ত উপমাকে অসহায় করে হয়ত আর মানুষ নই !!
কিংবা নির্বোধ !!

কালো আলো

আলো-১
রাতের চাদরে আলোর নকশাকে কি আর মুছে ফেলা যায় ?
সমস্ত উপহাস তুচ্ছ করে তার প্রস্ফুটন।
তার দেদীপ্য প্রকাশের কাছে নুয়ে থাকে অশুভ পদশব্দ
কেমন বিনম্র , বিনীত রস্মিগুচ্ছের শক্ত আলিঙ্গন...
আলো-২
জ্যোৎস্নার চাঁদ কথা বলে,
আলোর মৌনতাকে ছাপিয়েও কথোপকথন ...
বিলাসী বধূর কাছে এই রাত রোমাঞ্চিত কালো গোলাপ
কারো কাছে এই আলো শুধু উপহাস ।

আলো -৩
পানির উপর যেই আলোর নাচন,
মানব অন্তর  তাতে রহস্য খুঁজেছে কেবল
কিভাবে উন্মোচিত আকাশের আলোক রশ্মি গুলো সহসা উধাও
কোথা চলে যায় ?
ফিরে এসে হাসি মুখ  দিনের আলোক বার্তা খসে পরে ...
আলো -৪
কখনো অনেক আলোর ঝলকানির ভেতরেও থাকে মূলত অন্ধকার
যেমন কোলাহলের মাঝেও কেউ খুব একাকী
অথবা, স্বপ্ন দেখেও কেউ ভুলে যায় আগামীর সমূহ সাহস ...
 ৩০ নভেম্বর ২০১১

মূলত রঞ্জনা ,মাধুরী অথবা যুলেখা দেখেছে ঝড়

একটা ভারী কণ্ঠের দাপটে চমকে উঠলাম,
তোমার তো এ পথে আসার কথা ছিলনা মানবী ??
মুদ্রার এপিঠের জঞ্জালে কেন এলোমেলো তোমার বর্তমান ??
জীর্ণ ঠোঁটের সীমানায় একটা অদ্ভুত রহস্য নিয়ে আমি নিশ্চুপ রইলাম ।
পেছনে তাকিয়ে দেখি একটা দীর্ঘ পথ যেন আস্তিন টেনে ধরছে ততক্ষণে...
কিছু শব্দ ছুঁড়ে দেবার প্রয়াস করলাম,
জঞ্জালের কথা বলছ হে পথিক ?
জানো কি ? কতটা শ্রাবণ ভেসে গেলে , বসন্তের স্বপ্ন দেখে যুলেখা  ??
কতটা নির্বিঘ্নের প্রত্যাশায় সহজাত মায়ার জাল বুনতে শেখে মাধুরী চাকমা ??
নির্বাসনে অবাঞ্ছিত রঞ্জনার শরীরে গজে ওঠা দুঃখগুলো
পড়গাছার মত ক্রমশই উর্ধ্বমুখী... কেন ? বলতে পারো ?
তোমরা স্বপ্ন দেখো পরিপাটি পারিজাত পৃথিবীর, যুলেখাও দেখেছিল জানো ?
মাধুরী চাকমাও পাহারের কোল ঘেঁষে ফুল তুলেছিল
রঞ্জনাকে চেন? যার চঞ্চলতায় খিলখিলিয়ে উঠতো গোমরা-মুখো বিকেল ...
মূলত  রঞ্জনা ,মাধুরী অথবা যুলেখা দেখেছে ঝড়,
উন্মাতাল স্রোতের টানে কিভাবে ভেসে যায় গোলাপি ওড়না
তাদের থেকে কেইবা  ভাল বুঝেছে তা ?
অতঃপর
আমি জঞ্জাল সরাতে সরাতে শতাব্দীর দিকে হেঁটে চললাম ...
১।১২।২০১১