রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

সত্য হন্তারক

অন্ধকার গাঢ় হতে হতে
অমাবশ্যা এসে গেছে ঠিক
অথবা, ওরা অন্তরে ঠেসে নিল অন্ধকার
আদিম গুহার মত ।
ধিক ধিক ধিক !!
কার্বন বিষে, প্রকৃতিও হয়ে গেছে নীল
নষ্ট সংস্কৃতির সেকি দানব থাবা !
একদিকে সুনামি, অন্যপাশে তেড়ে আসে
বিবেকের মৃত্যু মিছিল ।
নীল নীল নীল !!
নাহ , মানুষ তো নয়
মানব শরীরে ওরা অবাধ্য নেকড়ের দল
অথবা, নেকড়েও নয় ওরা
ইবলিশের ডানা ধরে ঝুলন্ত সত্য হন্তারক চিল
নীল নীল নীল !!
আরও চলে গহীন গভীরে খুব কুচক্র জাল
আমি তুমি বুঝি সব,
কিংবা আলো পেয়ে পথ চলি নিজের মতন ।
ছড়িয়ে দিয়ে সেই আলোর রেনু,
চলো দেখি আলোকিত বসুধার সাহসী স্বপন ...
যে স্বপ্ন শুষে নেবে ঘুম!!
০৬।১১।২০১০

বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১০

এই ঢের ভাল আছি


ধরো,
তুমি ক্রমশই সবুজ হতে হতে
আস্তো একটা বৃক্ষ হয়ে গেলে,
শব্দহীন, ছন্দহীন, সুরের মুর্ছনাহীন ভূবনে তুমিও তেমন...
নিথর দাঁড়িয়ে তুমি আজন্ম সবুজ ছাড়া কেমন অর্থহীন ।
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
কান্না হাসির দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বিত মানুষ
কিংবা কবি...
ধরো,
তুমি ক্রমশই উদার হতে হতে
অনন্ত বিশালাকায় আকাশ হয়ে গেলে
গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্রের ভারে নুব্জ।
অথবা রহস্য রহস্য আর অসীম রহস্য তখন ...
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
ক্লান্তি শেষে ঘরে ফেরা শফিক সাহেব
কিংবা ফসলের স্বপ্ন বুকে বাঙ্গালী কৃষক...
ধরো,
তুমি ক্রমশই উঁচু হতে হতে
একটা পাহাড় হয়ে গেলে ...
গম্ভীর, অসম্ভব সুন্দর তুমি, প্রকৃতিকে ধারন করো আপন মায়ায় ...
মানুষের মত কি তবু থাকবে এত ঐশর্য তখন ??
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
অর্থাভাবে আটোসাটো সংসার খেলায় মগ্ন যুলেখা খাতুন ...
কিংবা, মঞ্চ কাঁপানো রোকেয়া প্রাচী ...
২৬/১০/২০১০

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০১০

বিপরীত


একটা যুদ্ধের রক্ত প্লাবন শেষ হতেই
আর একটা যুদ্ধের সমুহ আহবান,
অথচ আমার প্রত্যহ সাধ জাগে
অতল সুরের স্রোতে ঘুরে আসি স্বপ্নলোক
সেখানে বিছানো থাক আনন্দ গোলাপ,
গভীর মন্ত্রবানে সহসাই প্রস্ফুটিত হতে থাক
ইচ্ছেবাগানের যত কুঁড়ি ...
একটা আলো নিভে আসা আকাশ শেষ হতেই
আর একটা ভেজা ভোরের সমুহ আহোবান,
অথচ, আমি চাই অনন্ত রাতের সফর
জ্যোৎস্না নাইবা থাকুক, তবু থাক
অন্ধকারে জ্বলে ওঠা বিড়ালের আলোর গোলক,
একা পথ শুঁকে তবু বুঝে যাই সাহসের অসীম দাপট...
এক একটা নদীর ভাঙ্গন শেষ হতেই
আর একটা রাক্ষসী ঢেউ এর সমুহ দুঃসহ আঘাত...
অথচ আমি চাই এই গাঙ্গেও অঞ্চলে
নদী ও মানুষ আবর্তিত হোক রোমাঞ্চের দ্যোতনায়...
ভাঙ্গা নয়, গড়ে তোলার অভ্যাসে পরিপুষ্ট প্রতিটি নদীতট...
একটা হাসির রুপবতী দিনের আগমন শেষ হতেই
আর একটি সূর্য রহস্য ঘিরে ধরে সমুহ আবেগ
অথচ আমি চাই আমার ভেতরে লুটে পুটে পরে থাক
সবটুকু সত্যের উন্মাদোনা,
সমস্ত পরিশ্রাবনের স্পষ্টভাষী প্রতিজ্ঞা ...

মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০

শত্রুতা





বৃত্ত ভাঙ্গার চেষ্টা করতে করতে
যখন খুব বেশি শ্রান্তি নেমে আসে,
বৃত্তের পরিধি তখন বাড়তে থাকে...
বৃত্ত ভাঙ্গার চেষ্টা করতে করতে
যখন রাত আর দিনের ব্যবধান ঘুঁচে যায়,
বৃত্তের ভেতরে তখন দীর্ঘ হয় সময়ের স্রোত ...
বৃত্ত ভাঙ্গার চেষ্টা করতে করতে
যখন জড়িয়ে আসে নি:শ্বাস,
বৃত্তে তখন অক্সিজেনের ভীষন স্বল্পতা ...
বৃত্ত আর আমার তাই আজন্ম শত্রুতা !

শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০১০

ভালোবাসার চেইন রিএকশান


পৃথিবীতে যদি শুধু একটা শব্দ প্রতিষ্টার জন্য সব মানষ তাদের সকল শ্রম নিয়োগ করতো তাহলে হয়তো কোনদিন কাউকেই কোন কষ্ট স্পর্শ করতে পারতো না। ভালোবাসা এই ছোট্ট একটা শব্দের যে কত শক্তি তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা ।

এই একটা শব্দের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপরেই নির্ভর করছে আমাদের জীবনের সব শান্তি সম্মৃদ্ধি । জীবনের অতি ক্ষুদ্র অংশ থেকে শুরু করে সবদিকে যদি এর ব্যপক প্রয়োগ নিশ্চিত করা যেত তাহলে আমাদের পৃথিবীটা সত্যিই আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভূবন ভরা হয়ে যেত ।

আমার বাবা মা আমাকে খুব ভালোবাসেন । আমার কোন কষ্ট তাদের সহ্য হয়না । কিন্তু এই বাবা মা যখন পরিবারের বাইরের কাউকে কষ্ট দিতে দ্বিধা বোধ করেন না, তখন ই ভালোবাসার মৃত্যু ঘটে ওখানে। আমার কষ্টে যেমন তারা ব্যাথিত হয় তেমনি যদি অন্যের কষ্টেও ব্যথা অনুভব করতো তাহলেই ভালোবাসার আর একটা সবুজ বৃক্ষ জন্ম নিত যা এই সবুজ পৃথিবী কে আরো সতেজ করে তুলতো।

আমাদের স্বার্থপরতা আমাদের মাঝ থেকে ভালোবাসা মুছে দিয়েছে । আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবতে গিয়ে পৃথিবীকে ভালোবাসাহীন করে ফেলছি ।

যদি পরিবার কে যেভাবে ভালোবাসছি, সেভাবে দেশ কে ভালোবাসতে পারতাম তাহলে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আমার ভালোবাসা আমাকে দায়িত্বশীল করে তুলতো। আমি অন্যের হক মেরে নিজের আখের গুছাতাম না ।

আমরা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের গালি দিতে খুব পছন্দ করি, কিন্তু এক বার ও কি ভেবে দেখেছি, আমি নিজে কতটুকু দেশের জন্য অবদান রাখছি???

আমার দ্বারা দেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে কি না?? কিংবা দেশের জন্য আমার ভালোবাসা কি আমি মেপে দেখেছি ???

আমার প্রতিবেশি কি খেয়ে রাত কাটাচ্ছে ??নাকি না খেয়ে , সে খবর কি আমি রাখি ??? আমার অফিসের কলিগরা আমার ভালোবাসায় কতটুকু সিক্ত???

আমার সহপাঠিটির দুঃখ কষ্টের আমি কতটুকু ভাগিদার ???

আমার চলার রাস্তাটি পরিষ্কার রাখতে আমার ভূমিকা কতটুকু ???

আমার কথায় ও কাজে ভালোবাসার প্রচ্ছন্ন প্রভাবচক্রের মধ্যে সীমাহিন এক সুখের সমূদ্র বিরাজ করতে পারে, যদি আমার অন্তরে থাকে মানুষ এবং পৃথিবীকে ভালোবাসার এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ...

ভালোবাসার এই চেইন রিএকশান থেকে রেহাই পাবেনা কেউই, তাহলেই আমার পৃথিবী হতে পারে কষ্ঠহীন, বেদনাবিহীন, সুখের এক অপার নীল আকাশ ...

আসুন ছড়িয়ে দেই সেই ভালোবাসা ...

শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০


থামবেনা সূর্যের বিকিরন,
ম্লান হবেনা বৃষ্টি যুবকের কোন মানবিক প্রতিশ্রুতি শৈল্পিক বেদোনার নকশা থেকে রক্তের ফেনা উপচে লাফিয়ে উঠবে কাংখিত নতুন পৃথিবী ----
এমন সহস্র স্বপ্নের সূঁচের আঘাতে

এখন শুধু থমকে যায় সাহসী ঈগল ...

ঘন হয় ক্লান্ত শহর

ক্লান্ত প্রহর

ক্লান্তিতে ভস্ম সুখের নহর

যদি এমনই পিছু হটা প্রেমিকদের দেখে

সবাই সিজদা আর সংগ্রাম ভুলে যায়

যদি বিশ্বাসের তলোয়ারগুলো
এই বিক্ষিপ্ত নগ্ন সময়ে
হারিয়ে ফেলে আঘাতের অভ্যাস

তবে মৃত্যু নামুক

তবে মৃত্যু কাঁদাক,

মৃত্যু শিখাক

মৃত্যু আবার হাঁক দিয়ে যাক কঠিন ত্রাসে ...

অনেক গেছে সুখ সকালের ঘাসের আবেশ

অনেক গেছে ঘরের কোনে অলস দুপুর

অনেক গেছে ছুট গতি ওই রঙের নেশায়
অনেক গেছে সন্ধ্যা বধুর মধুর তিথি ...
এবার তবে স্বপ্ন ভাঙ্গুক
এবার তবে ব্যাথার নীলে

সব ফিরে পাক তীব্র সাহস ,বাদ প্রতিবাদ ...... ১৭.০৮.২০১০

সোমবার, ২১ জুন, ২০১০

বসতি উচ্ছেদ



সেখানে যদিও শূন্যতা নিয়ে বিষাদের প্রলাপ ছিল না কোন

তবুও অনাকাংখিত বসতির এ ছিল অনিবার্য পরিনাম...

সেখানে নদী ও অরন্যের ভাষা বুঝতে পারে

এমন সাহসী অন্তর ছিল না বলেই হয়ত

এই নিখাত ভালবাসার রংধনু

আকাশ কে সুখের বদলে দিয়েছে দগ্ধ অন্ধকার ।

এ বসতির পরিব্যাপ্তি নিয়ে যে শংকা ছিল,

এ বসতির প্রতিটি গাথুনিতে যে অযত্ন ছিল,

এ বসতির প্রতিটি ইটের ভেতরে যে দুঃস্বপ্ন লুকিয়ে ছিল,

তার সবটুকুতেই নির্মম এক ভুলের ইতিহাস.........।।

ভুল ছিল, খুব বেশি ভুল ছিল!!!

ভুল করেই সেখানে পৌছে গিয়েছিল

আমার চৌকাঠ,

আমার দরোজা,

আমার কপাট .........

তাই এক উদ্দাম সাহসের সাথে আজ এই বসতি উচ্ছেদ

আর,

আর একবার রুখে দাঁড়াক হারানো উচ্ছাস !!!


মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

পেছন দরজা !!!

((যখন সময় থাকে, বুঝিনা কিছুই, যখন বুঝতে পারি তখন সময় ফুরায়...!!! কেন যে এমন হয়, বুঝিনা সময় ???))

পেছনে ফিরে যাবার দরজাগুলো এমন পাষানের মত করে বন্ধ থাকে কেন?? পেছনে ফিরে যাবার দরজাটা যদি খোলা থাকতো, তাহলে এই অসহ্য সময়ের নাকে এক ঘুষি মেরে পালিয়ে যেতাম শৈশব কৈশরের দুরন্ত বাধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ারে স্কুলের ঝোলা কাঁধে পরিচিত পথের সাথে রোজ দেখা হত কেমন এক মায়াবী হৃদয়ের টানে

জীবনের জটিলতা কুটীলতা আর এত চাওয়া পাওয়া ছুঁতে পারতোনা মনের আঁচল শুধু নিরন্তর ছুটে যেতাম শুন্যে মিলিয়ে যাবার লুকোচুরি খেলায়
কিন্তু পেছনের দরজাটা জীবনের মতই জটীল একবার সেই দরজাটা পেরিয়ে এলে, অনুপ্রবেশের অনন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায় আর কোনদিন ফিরে আসেনা কৈশরআর কোনদিন স্কুলের ইউনিফরম আর ঝোলা কাঁধে বান্ধবীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা হয় না আর কোনদিন স্কুলের ছুটির ঘন্টা বাজলেই ভীষন খুশির নেশায় ভোঁ দৌড় দেয়া হয় না আর কখনও ডানা মেলে চিন্তামুক্ত ছোট্ট নিষ্পাপ আকাশটাতে উড়ে যাওয়া হয়না………………

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০

নির্মম পরিহাস

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন

জ্যোস্নার শুভ্রতাকেও মনে হয় নির্মম পরিহাস

দ্বন্দের ধুম্রজালে ঝলসে যাওয়া

হৃদয়ের বিক্ষত দেহে

পৌছে না সেই জ্যোস্না রাতের কোন চিঠি ।

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

সময়ের ভাজে ভাজে উসারিত হতে থাকে কষ্টের কীট

বন্ধুর আস্থাজরিত হাতের পাঁচটি আঙ্গুলকেও মনে হতে থাকে

উপহাস কিংবা করুনার করাল আঘাত।

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

জীবনের সবগুলো অধ্যায় মনে হয় সাদাকালো ছবি

যার ফোঁকর গলিয়ে বয়ে যায় এক সমুদ্র রক্তের স্রোত……..

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

এক প্রবল উত্তাল ঝড়ের দাপটে ভেঙ্গে খানখান

মনের বাগান........................।

বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০১০

নিয়তি নির্ধারিত

আমি সৌন্দর্যের অপার নীলিমা খুঁজতে খুঁজতে
কেবল দুহাতে জরাই অন্ধকার
আমার এমনি নিয়তি সুখের উলটো পিঠে মুদ্রার ছাপের মত জেগে থাকে দুঃখ
এই দুঃসময়ে কি করে বলব প্রভু??
ভাল আছি খুব ভাল
সুখ শুধু নিরংকুশ সুখ !!!
জনারন্যে থাকি, তবু ক্ষুধিত পাষান থেকে ভেসে আসে
স্পর্ষাতিত তীব্র আর্তনাদ
আমার সমস্ত আত্মাকে পেঁচিয়ে আবর্তিত হতে থাকে এক কুটীল অন্ধকার
অন্ধকার যেন কৃষ্ণপক্ষ
তাই এই দুঃসময়ে কি করে বলব প্রভু?
ভাল আছি খুব ভাল
সুখ শুধু নিরংকুশ সুখ!!!

বুধবার, ১২ মে, ২০১০

Tips for the beauty conscious people.....

Lets just apply in our life to be beautiful and smart………….


১।আল্লাহর সাথে মন কে সংযুক্ত রাখি।
২।অসীম মানবিক গুনের সমাবেশ ঘটাই নিজের জীবনে।
৩।জীবন হোক মৌলিক গুনাবলীর উপরে একটি সোনালী প্রাসাদ।
৪। সকল মৌলিক মানবিক দোষ ত্রুটি থেকে নিজেকে সাফ পবিত্র রাখি।
৫।চিন্তা এবং নিয়তের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করি।
৬।আল্লাহর অসীম ভালবাসা পাবার আকাঙ্ক্ষা মনের ভেতরে গেথে দেই।
৭।আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য সব কাজ করি।
৮।সবার জন্য প্রতি রাতে কল্যান কামনা করি, দোয়া করি।
৯।জ্ঞ্যান অর্জনে সচেতন থাকি, পড়ালেখা বারিয়ে দেই।
১০। আল্লাহর নির্ধারিত মৌলিক ইবাদত সঠিক ভাবে এবং রুহানি পদ্ধতিতে পালন করি।
১১।ইবাদতে নিষ্ঠা তৈরি করি।
১২। নফল ইবাদত এ regularity প্রতিষ্টা করি।(তাহাজ্জুত, নফল রোযা, আল্লাহর পথে অথ ব্যয়)
১৩।সকল ইবাদতে সৌন্দয, বিনয়, নম্রতা নিশ্চিত করি।
১৪।তৃপ্তির সাথে নামায পড়ি।
১৫।দৃষ্টি এ সকল এবং মন দারা সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি।
ইনশাআল্লাহ জীবন হবে অনেক বেশি মধুময়, ঘুচে যাবে সব দুঃখ কষ্ট। আর এই জীবনের সমাপ্তিতে আরেক নতুন জীবনের জন্য সঞ্চিত থাকবে জান্নাতের সুষমা………….
থাকবে এমন একটা বাগান, যার নিচ দিয়ে ঝর্না ধারা বয়ে যাবে………….

শনিবার, ৮ মে, ২০১০

সবটুকু তোমার............

হজম করেছি কত তমশার রেশ
কত সুভহে সাদিকের আলো মেখে মু্গ্ধ ও তো হয়েছি
তবে কেন এত অতৃপ্তি???
মনে হয় সব রঙ মেকি
সব হাসি স্পষ্ট ভনিতা!!!
ফুলের গন্ধেও কি অসহ্য কৃত্রিমতা...
বেল্কুনিতে দাড়ালে টেরাকোটা মৌনতা
এলোমেলো চিন্তার নিত্য খুন সুটি....
আবেগ আর বিবেকের জিহাদের ময়দানে
রোজ আমি জলন্ত শিখা,
রোজ আমি রক্তের স্রোত
রোজ আমি তলোয়ারের অভিজাত তিব্র সাহস
যুদ্ধ যেখানে জ়ান্নাতের এক মাত্র শর্ত
সেখানে সাহসী যোদ্ধা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই...

মানুষের অস্তিত্বে এ এক চিরন্তন রনক্ষেত্র যেন
যেখানে জয়ী হয়ে কেউ হয় মুত্তাকি
আর হেরে গিয়ে কেউবা পথভ্রষ্ঠ ...

তবু এখাআনেই জলরঙ্গা সপ্নিল আকাশের
নিরলশ নিখাত প্রেরনার বাতিঘর দেখি
বসরার গোলাপের সুবাসে কারো অন্তর হয় অনন্ত বসন্তের গান

মাঝে মাঝে অস্থির সময় যায়,
আসেনা আলো ।
অপেক্ষায় দৃষ্টি কমে
পাইনা ঠিকানা ।
কিন্তু ঠিক ই সময়ের পাতা বদলে
মিনার সুর বেয়ে তার সুভাষিতদের জন্য
ছুটে আসে মুক্তির সুর
হা;;;
আমার জীবন মরন তো শুধু তোমার জন্য ও সুন্দরের মালিক
আর,
প্রেম কুরবানির সবটুকু তোমার............

এমন আগুন যা রিদয় কে বিচুর্ন করবে

আগুন আগুন আগুনের শিখা জলছে যুগান্তর
যে আগুন রোজ ভস্ম করবে পাপীদের অন্তর ।
পৃথিবীর যে আগুনের ভয়ে সতর্ক তুমি আমি

কেন তবে এক বার্তা পেয়েও, এখনও বিপথগামি???
পার্থিব এই আগুন আর কতই পোড়াতে পারে?
জাহান্নামের কঠিন আগুন পৌছুবে অন্তরে ।
এখন সময় তিব্র সাহসী শানিত শপথ নেবার
অনন্ত শেই আগুনের থাবা স্তব্ধ করে দেবার।
এমন সুশীল সুধাময় হবে রিদয়ের কারুকাজ
পরতেই হবে অগ্রগামী জান্নাতীদের তাজ
আগুন আগুন আগুনের গর্জন
সহস্র কোটি বছর পুড়ে সে করবেই তর্জন
সে আগুন থেকে বাঁচতে পারাই প্রকৃত অর্জন.....
shimu
17.o1.10

দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে

চলছে গাড়ি, ঘুরছে চাকা
হোকনা সে পথ যতই বাকা।
মরছে মানুষ, মরছে আশা
দুম্রে কাঁদে মনের ভাষা।
যেথাই তাকাই সেথাই আগুন
হারিয়ে গেছে রঙ্গিন ফাগুন।
রাত্রি কিবা দিনের শেষে
দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে।
বোবা এখন সবাই সাজে
ব্যস্ত ভিষন নিজের কাজে।
আকাশ বিনোদনের নেশায়
নামছে সবাই ধংষ পেশায়
ধংষ প্রলয় আমার দেশে
চলছে কেমন আজব বেশে।
হাত গুটিয়ে সবাই ভাবুক
বিবেক শুধু মারছে চাবুক।
ফিরিঙ্গিদের রুখতে হবেই
দেশের মাটি রক্ষা তবেই......

আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???

মনের ভেতর সত্য ছিল
শুধু সত্য বলার সাহস ছিলনা
গহিন কনে সপ্ন ছিল
সপ্নে রঙ্গিন আকাশ ছিল
আকাশ জুরে বলাকা ছিল
কিন্তু শুধু সেই আকাশে
বাস্তবতার স্পর্শ ছিলনা???


একটি দুটি সকাল ছিল
শিশির ভেজা ঘাস ও ছিল
ঘাসে সবুজ গন্ধ ছিল
রৌদ্র ঝরার শব্দ ছিল
কিন্তু তাতে নতুন দিনের সিজদা ছিলনা...???


ঝিলের পানি পানকৌড়ি,
মেঠো পথের মায়া ছিল,
নদীর বুকে হাজার দিনের প্লাবন ছিল
আমার কেবল সৃষ্টি বুঝার সুখটা ছিল না???


অস্তগামি সুরুজ ছিল
ক্লান্ত দিনের ধুসর রঙের মৃত্যু ছিল
রাতের রিদয় অনেক অনেক শীতল ছিল
আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???


চারপাশে রোজ মৃত্যু ছিল ,কবর ছিল,
মানুষগুলোর জীবন কেমন ব্যঙ্গ ছিল
মানুষগুলোর জীবন কেমন ঠুনকো ছিল
শুধু মৃত্যু নিয়ে আমার ভাবার সময় ছিল না.......????


Sadia Shimu
26 December 2009

এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................

প্রতিটি রাতের মত অন্ধকার প্রশান্ত পৃথিবীতে
আজকেও আমি আত্বহত্যা করেছিলাম.
দিনান্তের সমস্ত ব্যস্ততা স্তব্ধ করে দিয়ে
দরজার হুরকো এটে
পরিপাটি বিছানার এক পাশে আমি মাথা শেটে দেই ।
এর পর শুরু হল আমার আত্বার ব্যবচ্ছেদ.................
অথবা বসুধার কোন এক অনাকাংখিত রহস্যের নিগূঢ় আত্ব প্রকাশ
রক্তমাংসহীন আমি,
আমার সীমান্তের বেড়া ডিঙ্গিয়ে হেটে চললাম
বিশ্ব মোড়লের স্বর্ণ খচিত শেত প্রাসাদের দিকে
অতঃপর,
সহস্র বছরের পথের ক্লান্তি নিয়ে
আমি পৌছলাম প্রাসাদের সদর ফটকের ঠিক সামণে
কিন্তু--
আমি বিস্ময় আতংকে আর
শকুনের রসনা বিলাশের তৃপ্তি ঢেকুরের অসহ্য শব্দে সঙ্গা হারালাম
তারপর এক জটিল অন্ধকার আমাকে নিয়ে মশকরায় মত্ত হল ..............
আমি যখন চোখ মেলেছি,
তাখনও দেখতে পেলাম রক্তের স্রোত
লাশের তিব্র গন্ধে আমার শ্বাস নালীর তিব্র প্রতিবাদ
হঠাৎ--
এক মহা বিস্ফোরনের শব্দে পৃথিবী কাঁপতে লাগল
আমি সন্ত্রস্ত হয়ে ছুটতে ছুটতে......
যখন মুক্ত আকাশের নিচে, দেখতে পেলাম---
এ এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................
.............................

নাগরিক প্রলাপ

নাগরিক আত্মার ভীড়ে
আজ এই ইট সুরকির কৃত্রিম নীড়ে
ভনিতা ঢুকে গেছে অস্থিমজ্জায়
শহুরে বধুরা এখন আর আঁচলে মুখ লুকোয়না
সহজাত সহজ লজ্জায়......
রোজ সূর্য ঘোমটা খুলে,
আলো হাতে টোকা দেয় দরজার কপাটে
তবু কেন আজ, তুমি আমি খুঁজে ফিরি আলো ?
তবু কেন চারিদিক অদ্ভুদ আঁধার এক ঘিরে ধরে রোজ??
অথচ ,মানুষগুলো মাতাল
যন্ত্রনার আখরে খুঁড়ে শান্তির সম্ভার...!!!!!!!!!!!!
সাদিয়া শিমু
২৭.১১.০৯

প্রকৃতির বিরুদ্ধে

আমি চৈত্রের দাবদাহ দেখেছি
মানুষের লোমকুপে কত সহজেই সে
লবনাক্ত পানির বুদবুদ ঘটাতে পারে ।
দুএকটা খরকুটো কুড়িয়ে এনে
যে পাখিটি সাজিয়েছিল ঝুলন্ত বাশর,
বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবিত বাতাস
কত সহজেই তা তুলোর মত উড়িয়ে দিতে পারে
আমি দেখেছি...........
অথৈ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি
নিঃসহায় মুখ আমি দেখেছি..........
আমি দেখেছি,
শীতের শুষ্কতায় ফুটপাতের অবুঝ শিশুগুলোর
ফেটে যাওয়া ঠোটের রক্তিম রেখা.........
ওদের উদোম শরীরে একটুখানি উষ্ণতা ঠেলে দিতে পারে
এমন রিদয়গুলো তখনও ঘুমিয়ে থাকে........
তাই প্রকৃতির পান্ডিত্যের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম—
তোমার ঝড় কি শুধু গৃহহারা করবে
অন্নাভাবে ডুবে থাকা আদম সন্তানদের??
তোমার রৌদ্রের তীক্ষ্ণতা কি শুধু
ইট ভাঙ্গায় ব্যাস্ত ঘোমটাপরা রমনীটির জন্য.......??
দিনভর লাঙ্গলের পেছনে ছুটতে থাকা কৃষকের জন্য??
তোমার বর্ষন কি শুধু
আজন্ম মাটির সাথে মিশে থাকা মানুষকে প্লাবিত করবার জন্য??
শীতের হিমেল বাতাস
বস্ত্রহীনদের কম্পিত করবার জন্যই
কি সষ্ণিত রাখো একটি বছর.........
জানি তুমি নির্বাক থাকবে
আমার দরজায় এসে
তোমার স্তিমিত কণ্ঠসর কোন উত্তর দেবেনা ।
অথচ দেখো,
তোমার বসন্তের মধুসখারা,সুরের দ্যোতনা ঝড়ায়
অট্টালিকার চমকপ্রদ রঙ্গমাখা দেয়ালে..........
পলাশ কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিকতা,
সেতো কফিহাউজের আড্ডার কবিতা.....
শাড়ীপরা যুবতীর খোপার ফুল
সোন্দর্যের বিলাসী উপমা.........
এখন—
প্রকৃতির নিঃশব্দ পৈশাচিকতায়
আমার কবিতার বারুদগলো বিষ্ফোরিত হতে চায়...............

সুপ্রভাত

চলো, অন্য কোন স্বপ্ন দেখি আজ
চলো, আঁকি অন্য এক পৃথিবীর অনাগত চিত্র
চলো, একসাথে ভোর দেখি, গান গাই--
গড়ে তুলি অক্ষত নিষ্পাপ মিত্র ।
বজ্রের আঘাতের উসকানি ভুলে যাই
ঐক্যের ভিত হলে নাই নাই, ভয় নাই
চলো, আনি সত্যের রিদ্যতা সখ্য
সবুজের কচিপাতা হোক তার লক্ষ্য
অন্য হাসিতে এসো পুলকিত করি রাত
তুলে ধরি সিজদার সোনামাখা সুপ্রভাত...........