মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০

পেছন দরজা !!!

((যখন সময় থাকে, বুঝিনা কিছুই, যখন বুঝতে পারি তখন সময় ফুরায়...!!! কেন যে এমন হয়, বুঝিনা সময় ???))

পেছনে ফিরে যাবার দরজাগুলো এমন পাষানের মত করে বন্ধ থাকে কেন?? পেছনে ফিরে যাবার দরজাটা যদি খোলা থাকতো, তাহলে এই অসহ্য সময়ের নাকে এক ঘুষি মেরে পালিয়ে যেতাম শৈশব কৈশরের দুরন্ত বাধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ারে স্কুলের ঝোলা কাঁধে পরিচিত পথের সাথে রোজ দেখা হত কেমন এক মায়াবী হৃদয়ের টানে

জীবনের জটিলতা কুটীলতা আর এত চাওয়া পাওয়া ছুঁতে পারতোনা মনের আঁচল শুধু নিরন্তর ছুটে যেতাম শুন্যে মিলিয়ে যাবার লুকোচুরি খেলায়
কিন্তু পেছনের দরজাটা জীবনের মতই জটীল একবার সেই দরজাটা পেরিয়ে এলে, অনুপ্রবেশের অনন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায় আর কোনদিন ফিরে আসেনা কৈশরআর কোনদিন স্কুলের ইউনিফরম আর ঝোলা কাঁধে বান্ধবীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা হয় না আর কোনদিন স্কুলের ছুটির ঘন্টা বাজলেই ভীষন খুশির নেশায় ভোঁ দৌড় দেয়া হয় না আর কখনও ডানা মেলে চিন্তামুক্ত ছোট্ট নিষ্পাপ আকাশটাতে উড়ে যাওয়া হয়না………………

শনিবার, ১৫ মে, ২০১০

নির্মম পরিহাস

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন

জ্যোস্নার শুভ্রতাকেও মনে হয় নির্মম পরিহাস

দ্বন্দের ধুম্রজালে ঝলসে যাওয়া

হৃদয়ের বিক্ষত দেহে

পৌছে না সেই জ্যোস্না রাতের কোন চিঠি ।

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

সময়ের ভাজে ভাজে উসারিত হতে থাকে কষ্টের কীট

বন্ধুর আস্থাজরিত হাতের পাঁচটি আঙ্গুলকেও মনে হতে থাকে

উপহাস কিংবা করুনার করাল আঘাত।

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

জীবনের সবগুলো অধ্যায় মনে হয় সাদাকালো ছবি

যার ফোঁকর গলিয়ে বয়ে যায় এক সমুদ্র রক্তের স্রোত……..

যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,

এক প্রবল উত্তাল ঝড়ের দাপটে ভেঙ্গে খানখান

মনের বাগান........................।

বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০১০

নিয়তি নির্ধারিত

আমি সৌন্দর্যের অপার নীলিমা খুঁজতে খুঁজতে
কেবল দুহাতে জরাই অন্ধকার
আমার এমনি নিয়তি সুখের উলটো পিঠে মুদ্রার ছাপের মত জেগে থাকে দুঃখ
এই দুঃসময়ে কি করে বলব প্রভু??
ভাল আছি খুব ভাল
সুখ শুধু নিরংকুশ সুখ !!!
জনারন্যে থাকি, তবু ক্ষুধিত পাষান থেকে ভেসে আসে
স্পর্ষাতিত তীব্র আর্তনাদ
আমার সমস্ত আত্মাকে পেঁচিয়ে আবর্তিত হতে থাকে এক কুটীল অন্ধকার
অন্ধকার যেন কৃষ্ণপক্ষ
তাই এই দুঃসময়ে কি করে বলব প্রভু?
ভাল আছি খুব ভাল
সুখ শুধু নিরংকুশ সুখ!!!

বুধবার, ১২ মে, ২০১০

Tips for the beauty conscious people.....

Lets just apply in our life to be beautiful and smart………….


১।আল্লাহর সাথে মন কে সংযুক্ত রাখি।
২।অসীম মানবিক গুনের সমাবেশ ঘটাই নিজের জীবনে।
৩।জীবন হোক মৌলিক গুনাবলীর উপরে একটি সোনালী প্রাসাদ।
৪। সকল মৌলিক মানবিক দোষ ত্রুটি থেকে নিজেকে সাফ পবিত্র রাখি।
৫।চিন্তা এবং নিয়তের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করি।
৬।আল্লাহর অসীম ভালবাসা পাবার আকাঙ্ক্ষা মনের ভেতরে গেথে দেই।
৭।আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য সব কাজ করি।
৮।সবার জন্য প্রতি রাতে কল্যান কামনা করি, দোয়া করি।
৯।জ্ঞ্যান অর্জনে সচেতন থাকি, পড়ালেখা বারিয়ে দেই।
১০। আল্লাহর নির্ধারিত মৌলিক ইবাদত সঠিক ভাবে এবং রুহানি পদ্ধতিতে পালন করি।
১১।ইবাদতে নিষ্ঠা তৈরি করি।
১২। নফল ইবাদত এ regularity প্রতিষ্টা করি।(তাহাজ্জুত, নফল রোযা, আল্লাহর পথে অথ ব্যয়)
১৩।সকল ইবাদতে সৌন্দয, বিনয়, নম্রতা নিশ্চিত করি।
১৪।তৃপ্তির সাথে নামায পড়ি।
১৫।দৃষ্টি এ সকল এবং মন দারা সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি।
ইনশাআল্লাহ জীবন হবে অনেক বেশি মধুময়, ঘুচে যাবে সব দুঃখ কষ্ট। আর এই জীবনের সমাপ্তিতে আরেক নতুন জীবনের জন্য সঞ্চিত থাকবে জান্নাতের সুষমা………….
থাকবে এমন একটা বাগান, যার নিচ দিয়ে ঝর্না ধারা বয়ে যাবে………….

শনিবার, ৮ মে, ২০১০

সবটুকু তোমার............

হজম করেছি কত তমশার রেশ
কত সুভহে সাদিকের আলো মেখে মু্গ্ধ ও তো হয়েছি
তবে কেন এত অতৃপ্তি???
মনে হয় সব রঙ মেকি
সব হাসি স্পষ্ট ভনিতা!!!
ফুলের গন্ধেও কি অসহ্য কৃত্রিমতা...
বেল্কুনিতে দাড়ালে টেরাকোটা মৌনতা
এলোমেলো চিন্তার নিত্য খুন সুটি....
আবেগ আর বিবেকের জিহাদের ময়দানে
রোজ আমি জলন্ত শিখা,
রোজ আমি রক্তের স্রোত
রোজ আমি তলোয়ারের অভিজাত তিব্র সাহস
যুদ্ধ যেখানে জ়ান্নাতের এক মাত্র শর্ত
সেখানে সাহসী যোদ্ধা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই...

মানুষের অস্তিত্বে এ এক চিরন্তন রনক্ষেত্র যেন
যেখানে জয়ী হয়ে কেউ হয় মুত্তাকি
আর হেরে গিয়ে কেউবা পথভ্রষ্ঠ ...

তবু এখাআনেই জলরঙ্গা সপ্নিল আকাশের
নিরলশ নিখাত প্রেরনার বাতিঘর দেখি
বসরার গোলাপের সুবাসে কারো অন্তর হয় অনন্ত বসন্তের গান

মাঝে মাঝে অস্থির সময় যায়,
আসেনা আলো ।
অপেক্ষায় দৃষ্টি কমে
পাইনা ঠিকানা ।
কিন্তু ঠিক ই সময়ের পাতা বদলে
মিনার সুর বেয়ে তার সুভাষিতদের জন্য
ছুটে আসে মুক্তির সুর
হা;;;
আমার জীবন মরন তো শুধু তোমার জন্য ও সুন্দরের মালিক
আর,
প্রেম কুরবানির সবটুকু তোমার............

এমন আগুন যা রিদয় কে বিচুর্ন করবে

আগুন আগুন আগুনের শিখা জলছে যুগান্তর
যে আগুন রোজ ভস্ম করবে পাপীদের অন্তর ।
পৃথিবীর যে আগুনের ভয়ে সতর্ক তুমি আমি

কেন তবে এক বার্তা পেয়েও, এখনও বিপথগামি???
পার্থিব এই আগুন আর কতই পোড়াতে পারে?
জাহান্নামের কঠিন আগুন পৌছুবে অন্তরে ।
এখন সময় তিব্র সাহসী শানিত শপথ নেবার
অনন্ত শেই আগুনের থাবা স্তব্ধ করে দেবার।
এমন সুশীল সুধাময় হবে রিদয়ের কারুকাজ
পরতেই হবে অগ্রগামী জান্নাতীদের তাজ
আগুন আগুন আগুনের গর্জন
সহস্র কোটি বছর পুড়ে সে করবেই তর্জন
সে আগুন থেকে বাঁচতে পারাই প্রকৃত অর্জন.....
shimu
17.o1.10

দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে

চলছে গাড়ি, ঘুরছে চাকা
হোকনা সে পথ যতই বাকা।
মরছে মানুষ, মরছে আশা
দুম্রে কাঁদে মনের ভাষা।
যেথাই তাকাই সেথাই আগুন
হারিয়ে গেছে রঙ্গিন ফাগুন।
রাত্রি কিবা দিনের শেষে
দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে।
বোবা এখন সবাই সাজে
ব্যস্ত ভিষন নিজের কাজে।
আকাশ বিনোদনের নেশায়
নামছে সবাই ধংষ পেশায়
ধংষ প্রলয় আমার দেশে
চলছে কেমন আজব বেশে।
হাত গুটিয়ে সবাই ভাবুক
বিবেক শুধু মারছে চাবুক।
ফিরিঙ্গিদের রুখতে হবেই
দেশের মাটি রক্ষা তবেই......

আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???

মনের ভেতর সত্য ছিল
শুধু সত্য বলার সাহস ছিলনা
গহিন কনে সপ্ন ছিল
সপ্নে রঙ্গিন আকাশ ছিল
আকাশ জুরে বলাকা ছিল
কিন্তু শুধু সেই আকাশে
বাস্তবতার স্পর্শ ছিলনা???


একটি দুটি সকাল ছিল
শিশির ভেজা ঘাস ও ছিল
ঘাসে সবুজ গন্ধ ছিল
রৌদ্র ঝরার শব্দ ছিল
কিন্তু তাতে নতুন দিনের সিজদা ছিলনা...???


ঝিলের পানি পানকৌড়ি,
মেঠো পথের মায়া ছিল,
নদীর বুকে হাজার দিনের প্লাবন ছিল
আমার কেবল সৃষ্টি বুঝার সুখটা ছিল না???


অস্তগামি সুরুজ ছিল
ক্লান্ত দিনের ধুসর রঙের মৃত্যু ছিল
রাতের রিদয় অনেক অনেক শীতল ছিল
আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???


চারপাশে রোজ মৃত্যু ছিল ,কবর ছিল,
মানুষগুলোর জীবন কেমন ব্যঙ্গ ছিল
মানুষগুলোর জীবন কেমন ঠুনকো ছিল
শুধু মৃত্যু নিয়ে আমার ভাবার সময় ছিল না.......????


Sadia Shimu
26 December 2009

এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................

প্রতিটি রাতের মত অন্ধকার প্রশান্ত পৃথিবীতে
আজকেও আমি আত্বহত্যা করেছিলাম.
দিনান্তের সমস্ত ব্যস্ততা স্তব্ধ করে দিয়ে
দরজার হুরকো এটে
পরিপাটি বিছানার এক পাশে আমি মাথা শেটে দেই ।
এর পর শুরু হল আমার আত্বার ব্যবচ্ছেদ.................
অথবা বসুধার কোন এক অনাকাংখিত রহস্যের নিগূঢ় আত্ব প্রকাশ
রক্তমাংসহীন আমি,
আমার সীমান্তের বেড়া ডিঙ্গিয়ে হেটে চললাম
বিশ্ব মোড়লের স্বর্ণ খচিত শেত প্রাসাদের দিকে
অতঃপর,
সহস্র বছরের পথের ক্লান্তি নিয়ে
আমি পৌছলাম প্রাসাদের সদর ফটকের ঠিক সামণে
কিন্তু--
আমি বিস্ময় আতংকে আর
শকুনের রসনা বিলাশের তৃপ্তি ঢেকুরের অসহ্য শব্দে সঙ্গা হারালাম
তারপর এক জটিল অন্ধকার আমাকে নিয়ে মশকরায় মত্ত হল ..............
আমি যখন চোখ মেলেছি,
তাখনও দেখতে পেলাম রক্তের স্রোত
লাশের তিব্র গন্ধে আমার শ্বাস নালীর তিব্র প্রতিবাদ
হঠাৎ--
এক মহা বিস্ফোরনের শব্দে পৃথিবী কাঁপতে লাগল
আমি সন্ত্রস্ত হয়ে ছুটতে ছুটতে......
যখন মুক্ত আকাশের নিচে, দেখতে পেলাম---
এ এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................
.............................

নাগরিক প্রলাপ

নাগরিক আত্মার ভীড়ে
আজ এই ইট সুরকির কৃত্রিম নীড়ে
ভনিতা ঢুকে গেছে অস্থিমজ্জায়
শহুরে বধুরা এখন আর আঁচলে মুখ লুকোয়না
সহজাত সহজ লজ্জায়......
রোজ সূর্য ঘোমটা খুলে,
আলো হাতে টোকা দেয় দরজার কপাটে
তবু কেন আজ, তুমি আমি খুঁজে ফিরি আলো ?
তবু কেন চারিদিক অদ্ভুদ আঁধার এক ঘিরে ধরে রোজ??
অথচ ,মানুষগুলো মাতাল
যন্ত্রনার আখরে খুঁড়ে শান্তির সম্ভার...!!!!!!!!!!!!
সাদিয়া শিমু
২৭.১১.০৯

প্রকৃতির বিরুদ্ধে

আমি চৈত্রের দাবদাহ দেখেছি
মানুষের লোমকুপে কত সহজেই সে
লবনাক্ত পানির বুদবুদ ঘটাতে পারে ।
দুএকটা খরকুটো কুড়িয়ে এনে
যে পাখিটি সাজিয়েছিল ঝুলন্ত বাশর,
বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবিত বাতাস
কত সহজেই তা তুলোর মত উড়িয়ে দিতে পারে
আমি দেখেছি...........
অথৈ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি
নিঃসহায় মুখ আমি দেখেছি..........
আমি দেখেছি,
শীতের শুষ্কতায় ফুটপাতের অবুঝ শিশুগুলোর
ফেটে যাওয়া ঠোটের রক্তিম রেখা.........
ওদের উদোম শরীরে একটুখানি উষ্ণতা ঠেলে দিতে পারে
এমন রিদয়গুলো তখনও ঘুমিয়ে থাকে........
তাই প্রকৃতির পান্ডিত্যের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম—
তোমার ঝড় কি শুধু গৃহহারা করবে
অন্নাভাবে ডুবে থাকা আদম সন্তানদের??
তোমার রৌদ্রের তীক্ষ্ণতা কি শুধু
ইট ভাঙ্গায় ব্যাস্ত ঘোমটাপরা রমনীটির জন্য.......??
দিনভর লাঙ্গলের পেছনে ছুটতে থাকা কৃষকের জন্য??
তোমার বর্ষন কি শুধু
আজন্ম মাটির সাথে মিশে থাকা মানুষকে প্লাবিত করবার জন্য??
শীতের হিমেল বাতাস
বস্ত্রহীনদের কম্পিত করবার জন্যই
কি সষ্ণিত রাখো একটি বছর.........
জানি তুমি নির্বাক থাকবে
আমার দরজায় এসে
তোমার স্তিমিত কণ্ঠসর কোন উত্তর দেবেনা ।
অথচ দেখো,
তোমার বসন্তের মধুসখারা,সুরের দ্যোতনা ঝড়ায়
অট্টালিকার চমকপ্রদ রঙ্গমাখা দেয়ালে..........
পলাশ কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিকতা,
সেতো কফিহাউজের আড্ডার কবিতা.....
শাড়ীপরা যুবতীর খোপার ফুল
সোন্দর্যের বিলাসী উপমা.........
এখন—
প্রকৃতির নিঃশব্দ পৈশাচিকতায়
আমার কবিতার বারুদগলো বিষ্ফোরিত হতে চায়...............

সুপ্রভাত

চলো, অন্য কোন স্বপ্ন দেখি আজ
চলো, আঁকি অন্য এক পৃথিবীর অনাগত চিত্র
চলো, একসাথে ভোর দেখি, গান গাই--
গড়ে তুলি অক্ষত নিষ্পাপ মিত্র ।
বজ্রের আঘাতের উসকানি ভুলে যাই
ঐক্যের ভিত হলে নাই নাই, ভয় নাই
চলো, আনি সত্যের রিদ্যতা সখ্য
সবুজের কচিপাতা হোক তার লক্ষ্য
অন্য হাসিতে এসো পুলকিত করি রাত
তুলে ধরি সিজদার সোনামাখা সুপ্রভাত...........

সহজ স্বীকারক্তী, কিন্তু........???

বলতে দ্বিধা নেই,
আমিও একবিংশ শতাব্দীর স্বপ্নে বিভোর এক ভোগবাদী বিশ্বাসী
আমিও হয়তোবা,
রনক্ষেত্র পালানো কোন ভীতুর কাছে দিক্ষিত যুবা.......
আজ, এই পৃথিবীর অপরাহ্নে
রাজভোজ শেষে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরা উম্মতরা
রক্ত চিৎকারেও জেগে ওঠেনা..
আমিও কি তাদেরই একজন?
ইদানিং--
মজলুমের আঁকুতি আমার অন্তরকে ভেদ করলে
আমি শুধু শ্রাবনে ভিজি........
কিংবা কিষ্ণিত রক্ত ঝড়ে বুকের ক্যানভাসে ।
আমি ঝাপিয়ে পরিনা মৃত্যুর জলন্ত শিখায়.........
যেখানে অগনিত মানুষের জীবন এখন
এক একটি বদর কিংবা ওহুদের প্রান্তর __
যেখানে মনুষ্যত্বকে প্রতিনিয়তই হত্যা করছে
জালিমেরা..........
তাই বলতে দ্বিধা নেই,
আমিও বোধয় চেতনার তোড়ণে
ঝুলিয়ে দিয়েছি প্রতবন্ধিত্বের তালা !!
পৃথিবী পুড়ছে সেকুলারিজমের বিষাক্ত আগুনে
উদারতার ধোয়া তুলে ,
ওরা জমিনে গেড়ে দিচ্ছে স্পষ্ট নষ্টামি ।
ইথারে ইথারে শুধু ধ্বংষ প্রলাপ
মানবিকতার বুকে প্রতিনিয়তই বিধছে
অসংখ্য জুলুমের তীর ।
অথচ, কি আশ্চর্য!!!
আমি এখনও পরম নিশ্চন্তে তন্দ্রাচ্ছন্ন..........
তাই, বলতে দ্বিধা নেই, আমিও বোধয় হারিয়েছি বিশ্বাসী নূর
ঠিক, পরীক্ষায় অকৃতকার্যরা যেমন গ্রহনযোগ্যতা হারায়...........
16.11.09

খুঁজে নাও উৎকৃষ্ট হাতিয়ার

আমি তোমাদের দুহাত ধরে নিয়ে এসেছি
উপত্যকার শেষ প্রান্তে!!!
তোমাদের সম্মুখে এখন
তোমাদেরই ভালোবাসাসিক্ত জন্মভূমির অস্তিত্বের ভাঁজ.....
উন্মুক্ত রয়েছে এর সবটুকু নিঃগূঢ় নির্জাস...........
তোমরা খুঁজে নাও
এক্ষুনি খুঁজে নাও তোমাদের সঠিক দরোজা,
আর ঠিকভাবে বেছে নাও উৎকৃষ্ট হাতিয়ার.................
নইলে হয়তো খুইয়ে বসবে,
প্রবেশের অঙ্গিকারাবদ্ধ অনুমতির দস্তখৎ
কিংবা নিজ ভুমিতে তুমিই হবে প্রবাসী................
বাহুতে আর অন্তকোঠরে জমে উঠবে অন্ধকারর রাজ!!!!!!!!!!!
তাই এক্ষুনি খুঁজে নাও, “সঠিক দরোজা’’
আর, উৎকৃষ্ট হাতিয়ার...................
.....................

শাশ্বত বিজয়

সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গের সাথে
মাঝিমাল্লার দুরন্ত সাহস যেমন
পেঁচিয়ে পেচিয়ে দিনাতিপাত করে
আমরাও কি এক দূর্বোদ্ধ বলয়ে যেন
ঘুরপাক খেয়ে চলেছি.........


বিদ্বেষের ফনা তুলে বিষ ছড়াচ্ছে
মানুষরুপি কতগুলো কালসাপ..........
কি বিভৎস ওদের অন্তরগুলো!!!
রক্তের নেশায় এদিক ওদিক ছোবল দিয়ে চলেছে ওরা........
ওরা পৃথিবীকে বানাতে চায় ধ্বংসপুরী.........
আমরা যতই নিরাপদ নগরীর স্বপ্নজাল বুনি
ওরা তাতে ঢেলে দেয় বিষাক্ত কালো ধোয়া,
আর, লাশের গন্ধ.......
আমরা যতই আলোর ঝিলিক বিলাতে চাই
ওরা নিয়ে আসে কুৎসিত কৃষ্ণপক্ষ ।


তবু আমি বিশ্বাসী
দাড়িয়েছি আশার সুতোয় বুনানো শীতল জায়নামাজে
সিজদার মগ্নতায় এটে দিয়ছি
পবিত্র পৃথিবীর সাধ........
তাইতো,
ঠিক বুঝতে পারি
অমবস্যার তমশা ভেদ করে
বখতিয়ারের তলোয়ার দিয়ে যাবে
সত্যের শাশ্বত বিজয়............
অস্হিরতা


কি করে ঘুমাই বলো শান্তির আচ্ছাদনে?
যখন ,
ফিলিস্তিন, ইরাক ,আফগানিস্তানে
আমারই ভাগ্যাহত ভাইয়েরা,
নির্ঘুম রাতরে সীমানায় দারিয়ে
কাফোনে মোড়ানো বুক পেতে থাকে
আর,
জিহবার অগ্রভাগে জিকিরের কম্পন এবং
ঠাহর করা করা কুরবানীর প্রতীজ্গা........
ঐ জালিমগুলো যখন
খোদার রশ্মীকে ফুতকারে নভিয়ে দিতে চায়
তখন কি করে আয়োজন করি পরিপাটি করে সাজানো ফুর শয্যার?
যখন দেখি শয়তানের লেজের উপর ভর করে
কত সহজেই ষরযন্ত্রের সফরে নেমেছে রক্তচোষার গডফাদাররা,
তখন কি আমার সময় থাকে,
রেস্তোরার অর্থহীন আড্ডায় হাসির জন্য কান পেতে থাকি?
হঠাৎ রক্তের কনিকাগুলো লাভা হয়ে যায়
মনে হয়
এই বুঝি বিষ্ফোরিত হবো ইহুদীর নীল নকশায়
এই বুঝি ব্রাশফায়ারের বুলেট হয়ে ঝাঝরা করে দেই
সব কটা অবিশ্বসীর বিষাক্ত বুক।
আবার মাঝে মাঝে সাধ জাগে
বেলালের তলোয়ার হই
কিতাবের বিরুদ্ধে যতগুলো হাত আজ সক্রিয়
বাগানের আগাছার মত ছেটে দেই সব।
এই যে অস্থর কলমের দ্রুতগতিপথ
এর মাঝে সচল আছে সিনার অস্থিরতা
অস্থিরতা-যুদ্ধের
অস্থিরতা-স্বাধীনতার
অস্থিরতা- হিজাব পরা রমণীর গুলিবিদ্ধ বুকের কসম
অস্থিরতা- শহীদদের চীরঞ্চীব আত্মার কোরাস................
কি করে ঘুমাই তবে শান্তির আচ্ছাদনে?
শিমু
১৪.০২.০৮

অশনি সংকেত

সুন্দরের সঙ্গা বদলে যাবার এ নিষ্ঠুর সময়ে
জানালার শাষিতে চিন্তামগ্ন আমরা
আমাদের সজীব উপত্যকার সীমান্তের বেড়ায়
মীরজাফরের প্রেতাত্মার অট্টহাসি
লরড ক্লাইভের লালিত স্বপ্নের কুৎসা পান করে
আত্মভোলা বেহুশেরা
লাঞ্চনার খাদ্য নিয়ে করছে কাড়াকাড়ি।
অথচ
এ উরবর উত্যকার শিরায় শিরায়
এখনও প্রবাহিত আছে
রক্তে খচিত তাজা ইতিহাস……………..
কিংবা পেছন ফিরে তাকালেই
এখনও দৃষ্টিতে বিম্বিত হতে থাকবে
সুন্দরের সুন্দরতম সঙ্গা।
কিন্তু ঠিক এই মুহুরতে
সুন্দরের চিরন্তন সঙ্গা বদলে যাবার
এ নিষ্ঠুর সময়ে,
জানালার শারষিতে খুব বেশি চিন্তামগ্ন আমরা।
পাশ্চাত্যের ফিনকি দিয়ে ছিটকে আসা নষ্টামিতে
অপবিএ হয়ে গেছে আমার মানচিত্রের শুদ্ধতা
আর, আমরা না না বলে চিৎকার করতেই
নাস্তিক্যের নখরাঘাতে
আহত, নীল আমাদের অঙ্গপ্রতঙ্গ
তাইতো এই বিকৃত সময়ে
খুব বেশি চিন্তামগ্ন আমরা…………
একটুখানি দৃষ্টি মেলে ধরো
নিশ্চিত দেখতে পাবে--- অশনি সংকেত
মোনালিসার নগ্ন হাসির কুৎসা পান করে
অচেতন যুবাদের দল
কেউবা ব্যাস্ত ভীষন,
সভ্যতাতে লেপটে দিতে নরতকীর বৈধতা
১৪ই ফেব্রুয়ারীর উল্টো পিঠে মুদ্রার ছাপের মত
জেগে আছে বেহায়াপনা
থারটি ফারস্টের মধ্য রাতে
ধরষিতার রক্তবরণ চিৎকারে
ভীত সনত্রস্ত জোনাকির ঝাক................
তাইতো সভ্যতা ধংসের এ নিষ্ঠুর সময়ে
বড় বেশি চিন্তামগ্ন আমরা.................
শিমু
২১.০২.০৯

কবিতার শত্রু

সুরের মুরছনা, রিদয় তন্ত্রীতে
যে ভালবাসার দ্যোতনা ছড়াতে পারে
তার সাথে তুলনা হয়না কবিতার,
এই বলে,
কবিতার এক খ্যাপাটে শত্রু
মুখ বাকিয়ে, পরন্ত কোন বিকেলে
আমার কাছে হলুদ খামের চিঠি ছুড়ে দিল..................
আমি পেড়ছি সে চিঠি
আমার কবিতাগুলো তখনও
লাল ডায়েরীর পাতায় ভালবাসি ভালবাসি বলে
শব্দের জড়োয়ায় সেজে উঠছিল.................
নীল খামে ভা চিঠিটি যখন চেচিয়ে উঠল
আমিতো কবিতার সৃষ্টি
বরণমালার নান্দনিক বিন্যাসে
কবিতাই আভার ভেতরে ভালবাসা এটে দিয়েছে।
নিন্দুকের কবিতা বাদ্বেসী মন
সুরের সমুদ্রে, বাদ্যযন্ত্রের ঝংকৃত ইন্দ্রজালে
মাতাল হয়ে রইল তখনও.....................
শিমু
২১.৫.০৬

শেষ ঘন্টাধ্বনি

ভেবেছিলাম,
একটু একটু করে জরো করবো
হিরন্ময় ভবিশ্যতের রঙীন জ্যোৎস্নার ফোটা
পাতাবাহারের উষ্ণ অভ্যর্থনা ডিঙিয়ে গিয়েই
হয়তো পেয়ে যাবো,
টলমলে জলের উপরে হাস্যোজ্জল পদ্মের ঝাক ।
আসলে কি তাই?
কই, আমিতো এখন পাথরের প্রান্তর ছাড়া কিছুই দেখিনা।
এত বন্ধুর পথ!!
দস্যি ছেলেরা দেখছি অস্ত্রের মহরায় ব্যাস্ত
শিংহলি ভাষায় ঐ ছোট্ট শিশুটিও বলছে-
যুদ্ধে যাবো, যাবোইতো!
ও বুঝতে শিখছে যুদ্ধের সাধ...........
কিন্তু যুদ্ধ মানেইতো অশান্তির বিষাক্ত কোরাস.............


কালের দলুজ থেকে ভেসে আসছে
ভয়ানক হিংস্র পশুর আলাপচারিতা...
দেখছোনা,
পৃথিবীতে এখন পশুত্বের রাজ ।
হিটলার নেই
তবু পৃথিবী পৃষ্ঠে জন্ম নিয়েছে
অন্যরুপ নাৎসির ঘের..
মানুষের রক্তাত্ব জীবন চৌকাঠে
কেবলি, হায়েনার প্রকট আক্রমন
শিশুর লাশ কাধে অশ্রুসিক্ত বাবার হুতাশ
মায়ের আর্ত চিৎকার,
লাশের মিছিলে রোজ
পৃথিবীর নতুন মৃত্যু....................
..........!!!!
দিলাসা দেবার আছো কি কেউ?
কেউ কি আছো,শান্তির শবনব ঝড়া
ভোরের বার্তা নিয়ে
খুলে দিয়ে যাবে,নিশ্চুপ শতাব্দীর বিবেকের দোর?
তারপর,
হ্যা, তার কিছুক্ষন পরেই
আমি স্বপ্নের রাজ্য ছেড়ে দেশান্তরি..........
শিথানের একটু পাশেই রাখা পানির গ্লাশটি
কম্পিত হাতে তুলে নিতেই, শুনতে পেলাম
মধ্যরাতের ইথারে ইথারে
মৃত্যুর হুংকার............
আমার অনুভূতির এই বুঝি শেষ ঘন্টাধ্বনি
এই বুঝি শেষ হল সুযোগের ফের........
দেখলাম,
অসংখ্য মানুষ আমার দিকে তাছ্যিল্যের হাসি হেসে বলছে—
তুমিওতো পৃথিবীকে দিতে পারতে
শবনম ঝরা শান্তির ভোর!!!!!!
আর তখনি,
অকৃতকার্যতার বোঝা কাঁধে
আমার জন্য খুলে গেলো মৃত্যুর দুয়ার...................




শিমু
০৭.০২.০৮

শান্তির কিতাব

ট্রেনের ঝকঝক শব্দে
আমাদের বিক্ষিপ্ত দৃষ্টি থেকে
টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো ফুটছিল.....
আমরা প্রায় এক শতাব্দী প্রহর গুনতে গুনতে..............
পৌছলাম পুরাদাহ ষ্টেশনে ।
যাত্রা কিন্তু শেষ হয়নি তখনও
কবরের নিস্তব্ধ অবকাশের দিকে
আমাদের ওহুদ খন্দকের ঐতিহ্য গন্তব্য ।
অতঃপর,
রোকন চাচার হোমিও হলের
ঔষধের শিশিগুলোর বিচূর্ন স্তুপ থেকে
সুস্থতার আত্মাটা বেরিয়ে এসে কাঁদতে লাগলো...........
রোকন চাচা এবার একটু নড়ে চড়ে বসলেন ।
তাকে ঘিরে অনেকগুলো চোখ তখনও নিঃসহায় তাকিয়ে............
এরপর বিপনি বিতান থেকে স্ট্যাচু অব লিবার্টির উচ্চতায়
আছড়ে পরতে লাগলো আমাদের গড়ম নিঃশ্বাস ।
হঠাৎ দেখি
হিন্দুস্তানের একটি পাহাড় থেকে
বিষ্ফোরিত লাভাগুলো
আমাদের নড়ম চোখে লেলিয়ে দিচ্ছে
কলস ভর্তি করা অশান্তি
এবং হাহাকার ।
আমরা তবুও লড়বো
আমরা তবুও প্রেরনার বৃক্ষ বুনবো
এই বলে,
লাইব্রেরীর তাক থেকে আমরা তুলে নিলাম
গ্যারান্টিযুক্ত শান্তির কিতাব............


শিমু
১৭.০২.০৭

অভিনন্দিত (শহীদ নোমানি ভাই স্মরনে)

জড়িদার আঙিনার সপ্নে আমরা তখন
খুব বেশি রোমাঞিত
এক একটি রক্তের অধ্যায় পেরিয়ে আমরা উন্মোচিত করতে
যাচ্ছিলাম চীর সম্ভাসিত সত্যের ঠিকানা\
এরপর অজস্্র ভোরের শিশিরে আমরা গুজে দিয়েছি
আমাদের স্বপ্নের সাধ
কত অন্তরের ভাজে ভাজে সুরভীর রেশ মেখে দিয়েছে
আমাদের ঐতিহ্যের অপরাজিতার রঙ
সেই থেকে শুধুই ফুলের প্রস্ফুটন.....


আমাদের পথে আজন্ম বিছানো আছে মৃত্যু
কিত্তু, ফুল কি কখনও মৃত্যুর কাছে করেছিল মাথা নত?
মতিহারের নন্দিত গুলিস্তানে
চুপিসারে কখন যেন ফুটেছিল
মৃত্যুহীন এমনিই এক ফুল।
প্রতিটি সিজদার শেষে যে ফুলে জরো হতো
সম্ভাবনার এক একটি নবীন পাপড়ি,.
অগনিত নিশীথের সিক্ত আয়োজনে সঙ্গোপনে
যার ছিল পরিশুদ্ধির প্রার্থনা,
উচ্ছসিত উদ্বেলিত মনের চৌকাঠে
শুধু সুন্দরের বিস্তর চাষবাস।
অথবা,
যার সুমিষ্ট হাসির ঝিলিকে
পুলকিত হতো গোমরামুখো বিকেলের পরন্ত লগ্ন
কাবিতার ছন্দের মত পরিশিলিত মনের পরতে পরতে
সে ফুল ধারন করেছিল হেরার রোশনাই.
আর,
কবুলের আলো ঝলমল পথে
যে ফুল পেয়ে গেল
প্রবেশের উৎকৃষ্ট অনুমতির তাজ,
তার জন্য আজকের এই অভিনন্দন পএ... ..... ৃ..


শিমু
২০.০৪.২০০৯

উলটো পথের পথিক যারা.....

স্রোতের বিপরীতে এক একটি সেকেন্ড
এক একটি বিশযুদ্ধ এখন.
মুখোশধারীদের মাঝে তুমি যদি মুখোশহীন থাকো
তবে তুমি নাকি ভনিতাবাজ !!
তুমি যদি সত্য বলো
তবে তোমাকে খেতাব দেয়া হয় মিথ্যাবাদী...
মানবতাকে লাঞ্চনাকারী প্রতারকেরা এখন মানবদরদী
অশ্লীলতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারিরা unsmart…. চাষা...
কিংবা মৌলবাদী..!!
কেও প্রকিতির পক্ষে থাকলে তাকে বলা হবে বন্য..
সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র হাতে ক্ষমতায় সমাশীন,
আর কেও জুলুমের বিপক্ষে প্রতিবাদ করলে
অত্যাচারি জালিমেরা কেরে নেয় তার বাঁচার অধিকার...
মসজিদগামিরা এখানে জংগি, আর নর্তকীরা??
নৃত্যশিল্পীর সম্মানে উদ্ভাষিত...
যা কিছু মানবিক, যা কিছু পবিত্র
তার সবটুকুর বিরুদ্ধে এখন জালিমের হাত খুব বেশি প্রসশ্ত...।
স্রোতের বিপরীতে এক একটি সেকেন্ড
এখন এক একটি বিশ্বযুদ্ধ................
..............

সেরাদের সেরা হও......

ব্যস্ত দিনের ক্লান্ত আলো,খুব বেশি আজ শ্রান্ত
অবাক নেশায় চুমুক দিয়ে,হয় নীশিদিন ভ্রান্ত
এইতো জীবন,খুব সহজেই,ফুরায় প্রানের খেলা
এই এখানেই,ক্ষনিক প্রহর,যায় কেটে যায় বেলা


অনেক মায়ার অক্টোপাসে জর্জরিত মন
এই পিছুটান ভাঙ্গার খেলায় যুদ্ধরত ক্ষন
জীবন নামের এই পরিহাস তবু ভীষন দামী
ফুলের মত ফুটবে যারা, হয়না বিপথগামী
তারপরে সেই ভীষন কঠিন, মৃত্যু দেবে হানা
আসবে নিয়ে নতুন জীবন ভুলতে তারে মানা
সেই জগতে জান্নাতিরাই সফল এবং সেরা
কল্পনাতীত সুখে যাদের থাকবে জীবন ঘেরা ।।


৮.০৫.২০১০
শিমু

শুক্রবার, ৭ মে, ২০১০

আমাদের তৈরি করতে হবে এমন একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বোমা যার বিস্ফোরনে ধংষ হবে সব অপসংস্কৃতি.....

মাত্র কিছুদিন আগে প্রথম বারের মত NCL ক্রিকেট লীগের ফাইনাল খেলা হয়ে গেল। আমার ছাত্র আইয়ান cricket এর বিশেষ ভক্ত। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে score দেখতে টিভি on করছে। আমিও cricket খুব পছন্দ করি, তাই মাঝে মাঝে দেখছিলাম। হটাৎ একটা বিষয় খেয়াল করে যার পর নাই অবাক হলাম। বাংলাদেশে জাতীয় একটি cricket লীগ এ পশ্চিমাদের culture অনুসরন করে মেয়েদের কে নাচানো হচ্ছে। এদের কে নাকি বলে cheer girl. আমাদের দেশের মানুষের মূল্যবোধ কে ধংষ করার জন্য যেভাবে নানাবিধ ষরযন্ত্রের জাল পাতানো হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে next ৫ বছরে বাঙ্গালী জাতির নিজস্ব অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
পহেলা বৈশাখের concert নৈরাজ্যের কথা আমরা সবাই জানি। সেখানে যে সব মেয়েরা গিয়েছে তারা যেমন মুসলিম ঘরের সন্তান, তেমনি যে সব মানুষ নামক পশুগুলো এই কাজ করেছে তারাও মুসলিম ঘরানার। পহেলা বৈশাখের নাম করে অপসংস্কৃতি যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে বোধ করি আমাদের সবার অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।
মানুষ হিসেবে জন্ম নিলে এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য যে সকল গুন বৈশিষ্ট একটা মানুষের অর্জন করা অপরিহার্য সেসব গুনাবলি মানুষ আর কিছুদিন পর যাদুঘরে কিংবা বই পুস্তকে দেখবে। কারন যে ভোগবাদি গোষ্ঠির অশুভ চক্রান্তের চোরাবালিতে আমাদের সমাজের মানুষগুলো ঢুকে পরেছে তার থেকে বেরিয়ে আসার পথকেও এরা তুচ্ছ মনে করছে । ভালো ও মন্দের মধ্যে ফারাকটা কোথায় এটা বুঝার ক্ষমতা অনেকাংশেই বিলুপ্ত।
এর একমাত্র কারন মানুষ সৃষ্টিকর্তার দেয়া জীবন পদ্ধতিকে জীবন থেকে অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে। যিনি সৃষ্টি করলেন একমাত্র তিনিই যে তার সৃষ্ট জীব এর জন্য সব থেকে কল্যানকর বিধান দিতে পারেন এটা মানুষ ভুলে যাচ্ছে।
যুদ্ধ আক্রান্ত এ পৃথিবীর প্রতিটি জনপদেই আজ চড়ম বিশংখলা বিরাজ করছে । আমাদের এই ছোট্ট দেশটির ভেতরেও শুরু হয়েছে ভয়ংকর দৈত্য দানবের পদচারনা। শয়তানের ওয়াদা অনুযায়ি সে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষকে ধংষের দোর গরায় পৌছে দেবার জন্য।
কিন্তু আজ এখুনি সব থেকে উপযুক্ত সময় আমাদের জেগে উঠার। সব জরতা, সব পিছুটান, সব অযোগ্যতা ঘুঁচিয়ে আমাদের উন্মোচিত হতে হবে এক মহীরুহের মত । আমাদের তৈরি করতে হবে এমন একটি শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বোমা যার বিস্ফোরনে ধংষ হবে সব অপসংস্কৃতি।
আর সেজন্য আমাদের ধারন করতে হবে কুরআন এবং হতে হবে সর্ব কালের সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক মানুষ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর মত...............