রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০
সত্য হন্তারক
বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১০
এই ঢের ভাল আছি
তুমি ক্রমশই সবুজ হতে হতে
আস্তো একটা বৃক্ষ হয়ে গেলে,
শব্দহীন, ছন্দহীন, সুরের মুর্ছনাহীন ভূবনে তুমিও তেমন...
নিথর দাঁড়িয়ে তুমি আজন্ম সবুজ ছাড়া কেমন অর্থহীন ।
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
কান্না হাসির দ্বন্দ্বে দ্বন্দ্বিত মানুষ
কিংবা কবি...
ধরো,
তুমি ক্রমশই উদার হতে হতে
অনন্ত বিশালাকায় আকাশ হয়ে গেলে
গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্রের ভারে নুব্জ।
অথবা রহস্য রহস্য আর অসীম রহস্য তখন ...
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
ক্লান্তি শেষে ঘরে ফেরা শফিক সাহেব
কিংবা ফসলের স্বপ্ন বুকে বাঙ্গালী কৃষক...
ধরো,
তুমি ক্রমশই উঁচু হতে হতে
একটা পাহাড় হয়ে গেলে ...
গম্ভীর, অসম্ভব সুন্দর তুমি, প্রকৃতিকে ধারন করো আপন মায়ায় ...
মানুষের মত কি তবু থাকবে এত ঐশর্য তখন ??
তার চেয়ে এই ঢের ভাল আছো তুমি,
অর্থাভাবে আটোসাটো সংসার খেলায় মগ্ন যুলেখা খাতুন ...
কিংবা, মঞ্চ কাঁপানো রোকেয়া প্রাচী ...
২৬/১০/২০১০
শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০১০
বিপরীত
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১০
শত্রুতা
শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০১০
ভালোবাসার চেইন রিএকশান
পৃথিবীতে যদি শুধু একটা শব্দ প্রতিষ্টার জন্য সব মানষ তাদের সকল শ্রম নিয়োগ করতো তাহলে হয়তো কোনদিন কাউকেই কোন কষ্ট স্পর্শ করতে পারতো না। “ভালোবাসা” এই ছোট্ট একটা শব্দের যে কত শক্তি তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা ।
এই একটা শব্দের সর্বোচ্চ ব্যবহারের উপরেই নির্ভর করছে আমাদের জীবনের সব শান্তি সম্মৃদ্ধি । জীবনের অতি ক্ষুদ্র অংশ থেকে শুরু করে সবদিকে যদি এর ব্যপক প্রয়োগ নিশ্চিত করা যেত তাহলে আমাদের পৃথিবীটা সত্যিই আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভূবন ভরা হয়ে যেত ।
আমার বাবা মা আমাকে খুব ভালোবাসেন । আমার কোন কষ্ট তাদের সহ্য হয়না । কিন্তু এই বাবা মা যখন পরিবারের বাইরের কাউকে কষ্ট দিতে দ্বিধা বোধ করেন না, তখন ই ভালোবাসার মৃত্যু ঘটে ওখানে। আমার কষ্টে যেমন তারা ব্যাথিত হয় তেমনি যদি অন্যের কষ্টেও ব্যথা অনুভব করতো তাহলেই ভালোবাসার আর একটা সবুজ বৃক্ষ জন্ম নিত যা এই সবুজ পৃথিবী কে আরো সতেজ করে তুলতো।
আমাদের স্বার্থপরতা আমাদের মাঝ থেকে ভালোবাসা মুছে দিয়েছে । আমরা শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবতে গিয়ে পৃথিবীকে ভালোবাসাহীন করে ফেলছি ।
যদি পরিবার কে যেভাবে ভালোবাসছি, সেভাবে দেশ কে ভালোবাসতে পারতাম তাহলে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য আমার ভালোবাসা আমাকে দায়িত্বশীল করে তুলতো। আমি অন্যের হক মেরে নিজের আখের গুছাতাম না ।
আমরা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের গালি দিতে খুব পছন্দ করি, কিন্তু এক বার ও কি ভেবে দেখেছি, আমি নিজে কতটুকু দেশের জন্য অবদান রাখছি???
আমার দ্বারা দেশের কোন ক্ষতি হচ্ছে কি না?? কিংবা দেশের জন্য আমার ভালোবাসা কি আমি মেপে দেখেছি ???
আমার প্রতিবেশি কি খেয়ে রাত কাটাচ্ছে ??নাকি না খেয়ে , সে খবর কি আমি রাখি ??? আমার অফিসের কলিগরা আমার ভালোবাসায় কতটুকু সিক্ত???
আমার সহপাঠিটির দুঃখ কষ্টের আমি কতটুকু ভাগিদার ???
আমার চলার রাস্তাটি পরিষ্কার রাখতে আমার ভূমিকা কতটুকু ???
আমার কথায় ও কাজে ভালোবাসার প্রচ্ছন্ন প্রভাবচক্রের মধ্যে সীমাহিন এক সুখের সমূদ্র বিরাজ করতে পারে, যদি আমার অন্তরে থাকে মানুষ এবং পৃথিবীকে ভালোবাসার এক দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ...
ভালোবাসার এই চেইন রিএকশান থেকে রেহাই পাবেনা কেউই, তাহলেই আমার পৃথিবী হতে পারে কষ্ঠহীন, বেদনাবিহীন, সুখের এক অপার নীল আকাশ ...
আসুন ছড়িয়ে দেই সেই ভালোবাসা ...
শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০১০
থামবেনা সূর্যের বিকিরন,
ম্লান হবেনা বৃষ্টি যুবকের কোন মানবিক প্রতিশ্রুতি । শৈল্পিক বেদোনার নকশা থেকে রক্তের ফেনা উপচে লাফিয়ে উঠবে কাংখিত নতুন পৃথিবী ----
এমন সহস্র স্বপ্নের সূঁচের আঘাতে
এখন শুধু থমকে যায় সাহসী ঈগল ...
ঘন হয় ক্লান্ত শহর
ক্লান্ত প্রহর
ক্লান্তিতে ভস্ম সুখের নহর ।
যদি এমনই পিছু হটা প্রেমিকদের দেখে
সবাই সিজদা আর সংগ্রাম ভুলে যায়
যদি বিশ্বাসের তলোয়ারগুলো এই বিক্ষিপ্ত নগ্ন সময়ে
হারিয়ে ফেলে আঘাতের অভ্যাস
তবে মৃত্যু নামুক
তবে মৃত্যু কাঁদাক,
মৃত্যু শিখাক
মৃত্যু আবার হাঁক দিয়ে যাক কঠিন ত্রাসে ...
অনেক গেছে সুখ সকালের ঘাসের আবেশ
অনেক গেছে ঘরের কোনে অলস দুপুর
অনেক গেছে ছুট গতি ওই রঙের নেশায়
অনেক গেছে সন্ধ্যা বধুর মধুর তিথি ...
এবার তবে স্বপ্ন ভাঙ্গুক
এবার তবে ব্যাথার নীলে
সব ফিরে পাক তীব্র সাহস ,বাদ প্রতিবাদ ...... ১৭.০৮.২০১০
সোমবার, ২১ জুন, ২০১০
বসতি উচ্ছেদ
তবুও অনাকাংখিত বসতির এ ছিল অনিবার্য পরিনাম...
সেখানে নদী ও অরন্যের ভাষা বুঝতে পারে
এমন সাহসী অন্তর ছিল না বলেই হয়ত
এই নিখাত ভালবাসার রংধনু
আকাশ কে সুখের বদলে দিয়েছে দগ্ধ অন্ধকার ।
এ বসতির পরিব্যাপ্তি নিয়ে যে শংকা ছিল,
এ বসতির প্রতিটি গাথুনিতে যে অযত্ন ছিল,
এ বসতির প্রতিটি ইটের ভেতরে যে দুঃস্বপ্ন লুকিয়ে ছিল,
তার সবটুকুতেই নির্মম এক ভুলের ইতিহাস.........।।
ভুল ছিল, খুব বেশি ভুল ছিল!!!
ভুল করেই সেখানে পৌছে গিয়েছিল
আমার চৌকাঠ,
আমার দরোজা,
আমার কপাট .........
তাই এক উদ্দাম সাহসের সাথে আজ এই বসতি উচ্ছেদ
আর,
আর একবার রুখে দাঁড়াক হারানো উচ্ছাস !!!
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০১০
পেছন দরজা !!!
পেছনে ফিরে যাবার দরজাগুলো এমন পাষানের মত করে বন্ধ থাকে কেন?? পেছনে ফিরে যাবার দরজাটা যদি খোলা থাকতো, তাহলে এই অসহ্য সময়ের নাকে এক ঘুষি মেরে পালিয়ে যেতাম শৈশব কৈশরের দুরন্ত বাধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ারে। স্কুলের ঝোলা কাঁধে পরিচিত পথের সাথে রোজ দেখা হত কেমন এক মায়াবী হৃদয়ের টানে।
জীবনের জটিলতা কুটীলতা আর এত চাওয়া পাওয়া ছুঁতে পারতোনা মনের আঁচল ।শুধু নিরন্তর ছুটে যেতাম শুন্যে মিলিয়ে যাবার লুকোচুরি খেলায়।
কিন্তু পেছনের দরজাটা জীবনের মতই জটীল। একবার সেই দরজাটা পেরিয়ে এলে, অনুপ্রবেশের অনন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায়। আর কোনদিন ফিরে আসেনা কৈশর।আর কোনদিন স্কুলের ইউনিফরম আর ঝোলা কাঁধে বান্ধবীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা হয় না। আর কোনদিন স্কুলের ছুটির ঘন্টা বাজলেই ভীষন খুশির নেশায় ভোঁ দৌড় দেয়া হয় না। আর কখনও ডানা মেলে চিন্তামুক্ত ছোট্ট নিষ্পাপ আকাশটাতে উড়ে যাওয়া হয়না………………
শনিবার, ১৫ মে, ২০১০
নির্মম পরিহাস
যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন
জ্যোৎস্নার শুভ্রতাকেও মনে হয় নির্মম পরিহাস
দ্বন্দের ধুম্রজালে ঝলসে যাওয়া
হৃদয়ের বিক্ষত দেহে
পৌছে না সেই জ্যোৎস্না রাতের কোন চিঠি ।
যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,
সময়ের ভাজে ভাজে উৎসারিত হতে থাকে কষ্টের কীট
বন্ধুর আস্থাজরিত হাতের পাঁচটি আঙ্গুলকেও মনে হতে থাকে
উপহাস কিংবা করুনার করাল আঘাত।
যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,
জীবনের সবগুলো অধ্যায় মনে হয় সাদাকালো ছবি
যার ফোঁকর গলিয়ে বয়ে যায় এক সমুদ্র রক্তের স্রোত……..
যখন খুব বেশি কষ্টে থাকে মন,
এক প্রবল উত্তাল ঝড়ের দাপটে ভেঙ্গে খানখান
মনের বাগান........................।
বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০১০
নিয়তি নির্ধারিত
বুধবার, ১২ মে, ২০১০
Tips for the beauty conscious people.....
১।আল্লাহর সাথে মন কে সংযুক্ত রাখি।
২।অসীম মানবিক গুনের সমাবেশ ঘটাই নিজের জীবনে।
৩।জীবন হোক মৌলিক গুনাবলীর উপরে একটি সোনালী প্রাসাদ।
৪। সকল মৌলিক মানবিক দোষ ত্রুটি থেকে নিজেকে সাফ পবিত্র রাখি।
৫।চিন্তা এবং নিয়তের পরিশুদ্ধি নিশ্চিত করি।
৬।আল্লাহর অসীম ভালবাসা পাবার আকাঙ্ক্ষা মনের ভেতরে গেথে দেই।
৭।আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য সব কাজ করি।
৮।সবার জন্য প্রতি রাতে কল্যান কামনা করি, দোয়া করি।
৯।জ্ঞ্যান অর্জনে সচেতন থাকি, পড়ালেখা বারিয়ে দেই।
১০। আল্লাহর নির্ধারিত মৌলিক ইবাদত সঠিক ভাবে এবং রুহানি পদ্ধতিতে পালন করি।
১১।ইবাদতে নিষ্ঠা তৈরি করি।
১২। নফল ইবাদত এ regularity প্রতিষ্টা করি।(তাহাজ্জুত, নফল রোযা, আল্লাহর পথে অথ ব্যয়)
১৩।সকল ইবাদতে সৌন্দয, বিনয়, নম্রতা নিশ্চিত করি।
১৪।তৃপ্তির সাথে নামায পড়ি।
১৫।দৃষ্টি এ সকল এবং মন দারা সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি।
ইনশাআল্লাহ জীবন হবে অনেক বেশি মধুময়, ঘুচে যাবে সব দুঃখ কষ্ট। আর এই জীবনের সমাপ্তিতে আরেক নতুন জীবনের জন্য সঞ্চিত থাকবে জান্নাতের সুষমা………….
থাকবে এমন একটা বাগান, যার নিচ দিয়ে ঝর্না ধারা বয়ে যাবে………….
শনিবার, ৮ মে, ২০১০
সবটুকু তোমার............
এমন আগুন যা রিদয় কে বিচুর্ন করবে
দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে
হোকনা সে পথ যতই বাকা।
মরছে মানুষ, মরছে আশা
দুম্রে কাঁদে মনের ভাষা।
যেথাই তাকাই সেথাই আগুন
হারিয়ে গেছে রঙ্গিন ফাগুন।
রাত্রি কিবা দিনের শেষে
দৈত্য দানব ঘুরছে দেশে।
বোবা এখন সবাই সাজে
ব্যস্ত ভিষন নিজের কাজে।
আকাশ বিনোদনের নেশায়
নামছে সবাই ধংষ পেশায়
ধংষ প্রলয় আমার দেশে
চলছে কেমন আজব বেশে।
হাত গুটিয়ে সবাই ভাবুক
বিবেক শুধু মারছে চাবুক।
ফিরিঙ্গিদের রুখতে হবেই
দেশের মাটি রক্ষা তবেই......
আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???
শুধু সত্য বলার সাহস ছিলনা
গহিন কনে সপ্ন ছিল
সপ্নে রঙ্গিন আকাশ ছিল
আকাশ জুরে বলাকা ছিল
কিন্তু শুধু সেই আকাশে
বাস্তবতার স্পর্শ ছিলনা???
একটি দুটি সকাল ছিল
শিশির ভেজা ঘাস ও ছিল
ঘাসে সবুজ গন্ধ ছিল
রৌদ্র ঝরার শব্দ ছিল
কিন্তু তাতে নতুন দিনের সিজদা ছিলনা...???
ঝিলের পানি পানকৌড়ি,
মেঠো পথের মায়া ছিল,
নদীর বুকে হাজার দিনের প্লাবন ছিল
আমার কেবল সৃষ্টি বুঝার সুখটা ছিল না???
অস্তগামি সুরুজ ছিল
ক্লান্ত দিনের ধুসর রঙের মৃত্যু ছিল
রাতের রিদয় অনেক অনেক শীতল ছিল
আমার শুধু জীবন ঘষে জীবন দেখার সাধ্য ছিল না???
চারপাশে রোজ মৃত্যু ছিল ,কবর ছিল,
মানুষগুলোর জীবন কেমন ব্যঙ্গ ছিল
মানুষগুলোর জীবন কেমন ঠুনকো ছিল
শুধু মৃত্যু নিয়ে আমার ভাবার সময় ছিল না.......????
Sadia Shimu
26 December 2009
এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................
আজকেও আমি আত্বহত্যা করেছিলাম.
দিনান্তের সমস্ত ব্যস্ততা স্তব্ধ করে দিয়ে
দরজার হুরকো এটে
পরিপাটি বিছানার এক পাশে আমি মাথা শেটে দেই ।
এর পর শুরু হল আমার আত্বার ব্যবচ্ছেদ.................
অথবা বসুধার কোন এক অনাকাংখিত রহস্যের নিগূঢ় আত্ব প্রকাশ
রক্তমাংসহীন আমি,
আমার সীমান্তের বেড়া ডিঙ্গিয়ে হেটে চললাম
বিশ্ব মোড়লের স্বর্ণ খচিত শেত প্রাসাদের দিকে
অতঃপর,
সহস্র বছরের পথের ক্লান্তি নিয়ে
আমি পৌছলাম প্রাসাদের সদর ফটকের ঠিক সামণে
কিন্তু--
আমি বিস্ময় আতংকে আর
শকুনের রসনা বিলাশের তৃপ্তি ঢেকুরের অসহ্য শব্দে সঙ্গা হারালাম
তারপর এক জটিল অন্ধকার আমাকে নিয়ে মশকরায় মত্ত হল ..............
আমি যখন চোখ মেলেছি,
তাখনও দেখতে পেলাম রক্তের স্রোত
লাশের তিব্র গন্ধে আমার শ্বাস নালীর তিব্র প্রতিবাদ
হঠাৎ--
এক মহা বিস্ফোরনের শব্দে পৃথিবী কাঁপতে লাগল
আমি সন্ত্রস্ত হয়ে ছুটতে ছুটতে......
যখন মুক্ত আকাশের নিচে, দেখতে পেলাম---
এ এক অদ্ভুতুরে ধ্বংস যজ্ঞ......................
নাগরিক প্রলাপ
আজ এই ইট সুরকির কৃত্রিম নীড়ে
ভনিতা ঢুকে গেছে অস্থিমজ্জায়
শহুরে বধুরা এখন আর আঁচলে মুখ লুকোয়না
সহজাত সহজ লজ্জায়......
রোজ সূর্য ঘোমটা খুলে,
আলো হাতে টোকা দেয় দরজার কপাটে
তবু কেন আজ, তুমি আমি খুঁজে ফিরি আলো ?
তবু কেন চারিদিক অদ্ভুদ আঁধার এক ঘিরে ধরে রোজ??
অথচ ,মানুষগুলো মাতাল
যন্ত্রনার আখরে খুঁড়ে শান্তির সম্ভার...!!!!!!!!!!!!
সাদিয়া শিমু
২৭.১১.০৯
প্রকৃতির বিরুদ্ধে
মানুষের লোমকুপে কত সহজেই সে
লবনাক্ত পানির বুদবুদ ঘটাতে পারে ।
দুএকটা খরকুটো কুড়িয়ে এনে
যে পাখিটি সাজিয়েছিল ঝুলন্ত বাশর,
বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবিত বাতাস
কত সহজেই তা তুলোর মত উড়িয়ে দিতে পারে
আমি দেখেছি...........
অথৈ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি
নিঃসহায় মুখ আমি দেখেছি..........
আমি দেখেছি,
শীতের শুষ্কতায় ফুটপাতের অবুঝ শিশুগুলোর
ফেটে যাওয়া ঠোটের রক্তিম রেখা.........
ওদের উদোম শরীরে একটুখানি উষ্ণতা ঠেলে দিতে পারে
এমন রিদয়গুলো তখনও ঘুমিয়ে থাকে........
তাই প্রকৃতির পান্ডিত্যের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম—
তোমার ঝড় কি শুধু গৃহহারা করবে
অন্নাভাবে ডুবে থাকা আদম সন্তানদের??
তোমার রৌদ্রের তীক্ষ্ণতা কি শুধু
ইট ভাঙ্গায় ব্যাস্ত ঘোমটাপরা রমনীটির জন্য.......??
দিনভর লাঙ্গলের পেছনে ছুটতে থাকা কৃষকের জন্য??
তোমার বর্ষন কি শুধু
আজন্ম মাটির সাথে মিশে থাকা মানুষকে প্লাবিত করবার জন্য??
শীতের হিমেল বাতাস
বস্ত্রহীনদের কম্পিত করবার জন্যই
কি সষ্ণিত রাখো একটি বছর.........
জানি তুমি নির্বাক থাকবে
আমার দরজায় এসে
তোমার স্তিমিত কণ্ঠসর কোন উত্তর দেবেনা ।
অথচ দেখো,
তোমার বসন্তের মধুসখারা,সুরের দ্যোতনা ঝড়ায়
অট্টালিকার চমকপ্রদ রঙ্গমাখা দেয়ালে..........
পলাশ কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিকতা,
সেতো কফিহাউজের আড্ডার কবিতা.....
শাড়ীপরা যুবতীর খোপার ফুল
সোন্দর্যের বিলাসী উপমা.........
এখন—
প্রকৃতির নিঃশব্দ পৈশাচিকতায়
আমার কবিতার বারুদগলো বিষ্ফোরিত হতে চায়...............
সুপ্রভাত
চলো, আঁকি অন্য এক পৃথিবীর অনাগত চিত্র
চলো, একসাথে ভোর দেখি, গান গাই--
গড়ে তুলি অক্ষত নিষ্পাপ মিত্র ।
বজ্রের আঘাতের উসকানি ভুলে যাই
ঐক্যের ভিত হলে নাই নাই, ভয় নাই
চলো, আনি সত্যের রিদ্যতা সখ্য
সবুজের কচিপাতা হোক তার লক্ষ্য
অন্য হাসিতে এসো পুলকিত করি রাত
তুলে ধরি সিজদার সোনামাখা সুপ্রভাত...........