শনিবার, ৮ মে, ২০১০

প্রকৃতির বিরুদ্ধে

আমি চৈত্রের দাবদাহ দেখেছি
মানুষের লোমকুপে কত সহজেই সে
লবনাক্ত পানির বুদবুদ ঘটাতে পারে ।
দুএকটা খরকুটো কুড়িয়ে এনে
যে পাখিটি সাজিয়েছিল ঝুলন্ত বাশর,
বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবিত বাতাস
কত সহজেই তা তুলোর মত উড়িয়ে দিতে পারে
আমি দেখেছি...........
অথৈ পানিতে তলিয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি
নিঃসহায় মুখ আমি দেখেছি..........
আমি দেখেছি,
শীতের শুষ্কতায় ফুটপাতের অবুঝ শিশুগুলোর
ফেটে যাওয়া ঠোটের রক্তিম রেখা.........
ওদের উদোম শরীরে একটুখানি উষ্ণতা ঠেলে দিতে পারে
এমন রিদয়গুলো তখনও ঘুমিয়ে থাকে........
তাই প্রকৃতির পান্ডিত্যের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম—
তোমার ঝড় কি শুধু গৃহহারা করবে
অন্নাভাবে ডুবে থাকা আদম সন্তানদের??
তোমার রৌদ্রের তীক্ষ্ণতা কি শুধু
ইট ভাঙ্গায় ব্যাস্ত ঘোমটাপরা রমনীটির জন্য.......??
দিনভর লাঙ্গলের পেছনে ছুটতে থাকা কৃষকের জন্য??
তোমার বর্ষন কি শুধু
আজন্ম মাটির সাথে মিশে থাকা মানুষকে প্লাবিত করবার জন্য??
শীতের হিমেল বাতাস
বস্ত্রহীনদের কম্পিত করবার জন্যই
কি সষ্ণিত রাখো একটি বছর.........
জানি তুমি নির্বাক থাকবে
আমার দরজায় এসে
তোমার স্তিমিত কণ্ঠসর কোন উত্তর দেবেনা ।
অথচ দেখো,
তোমার বসন্তের মধুসখারা,সুরের দ্যোতনা ঝড়ায়
অট্টালিকার চমকপ্রদ রঙ্গমাখা দেয়ালে..........
পলাশ কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিকতা,
সেতো কফিহাউজের আড্ডার কবিতা.....
শাড়ীপরা যুবতীর খোপার ফুল
সোন্দর্যের বিলাসী উপমা.........
এখন—
প্রকৃতির নিঃশব্দ পৈশাচিকতায়
আমার কবিতার বারুদগলো বিষ্ফোরিত হতে চায়...............

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন