শনিবার, ৮ মে, ২০১০

শেষ ঘন্টাধ্বনি

ভেবেছিলাম,
একটু একটু করে জরো করবো
হিরন্ময় ভবিশ্যতের রঙীন জ্যোৎস্নার ফোটা
পাতাবাহারের উষ্ণ অভ্যর্থনা ডিঙিয়ে গিয়েই
হয়তো পেয়ে যাবো,
টলমলে জলের উপরে হাস্যোজ্জল পদ্মের ঝাক ।
আসলে কি তাই?
কই, আমিতো এখন পাথরের প্রান্তর ছাড়া কিছুই দেখিনা।
এত বন্ধুর পথ!!
দস্যি ছেলেরা দেখছি অস্ত্রের মহরায় ব্যাস্ত
শিংহলি ভাষায় ঐ ছোট্ট শিশুটিও বলছে-
যুদ্ধে যাবো, যাবোইতো!
ও বুঝতে শিখছে যুদ্ধের সাধ...........
কিন্তু যুদ্ধ মানেইতো অশান্তির বিষাক্ত কোরাস.............


কালের দলুজ থেকে ভেসে আসছে
ভয়ানক হিংস্র পশুর আলাপচারিতা...
দেখছোনা,
পৃথিবীতে এখন পশুত্বের রাজ ।
হিটলার নেই
তবু পৃথিবী পৃষ্ঠে জন্ম নিয়েছে
অন্যরুপ নাৎসির ঘের..
মানুষের রক্তাত্ব জীবন চৌকাঠে
কেবলি, হায়েনার প্রকট আক্রমন
শিশুর লাশ কাধে অশ্রুসিক্ত বাবার হুতাশ
মায়ের আর্ত চিৎকার,
লাশের মিছিলে রোজ
পৃথিবীর নতুন মৃত্যু....................
..........!!!!
দিলাসা দেবার আছো কি কেউ?
কেউ কি আছো,শান্তির শবনব ঝড়া
ভোরের বার্তা নিয়ে
খুলে দিয়ে যাবে,নিশ্চুপ শতাব্দীর বিবেকের দোর?
তারপর,
হ্যা, তার কিছুক্ষন পরেই
আমি স্বপ্নের রাজ্য ছেড়ে দেশান্তরি..........
শিথানের একটু পাশেই রাখা পানির গ্লাশটি
কম্পিত হাতে তুলে নিতেই, শুনতে পেলাম
মধ্যরাতের ইথারে ইথারে
মৃত্যুর হুংকার............
আমার অনুভূতির এই বুঝি শেষ ঘন্টাধ্বনি
এই বুঝি শেষ হল সুযোগের ফের........
দেখলাম,
অসংখ্য মানুষ আমার দিকে তাছ্যিল্যের হাসি হেসে বলছে—
তুমিওতো পৃথিবীকে দিতে পারতে
শবনম ঝরা শান্তির ভোর!!!!!!
আর তখনি,
অকৃতকার্যতার বোঝা কাঁধে
আমার জন্য খুলে গেলো মৃত্যুর দুয়ার...................




শিমু
০৭.০২.০৮

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন